বাজুসের সদস্য হয়ে অসাধু উপায়ে জুয়েলারি ব্যবসা করা যাবে না। জুয়েলারি ব্যবসা করেতে হলে মানতে হবে বাজুসের নিয়ম-কানুন। বাজুসের বেঁধে দেয়া মূল্যের বাইরে গিয়ে বিক্রি করতে পারবে না স্বর্ণ। অসাধু জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের তালিকা করবে বাজুস।
গতকাল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) চাঁদপুর জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন বাজুসের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসান।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বড় ও ছোট সব ব্যবসায়ী যাতে সৎভাবে ব্যবসা করতে পারেন সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাজুস। যারা স্বর্ণের ব্যবসা করবেন তাদের অবশ্যই বাজুসের সদস্য হতে হবে। এরই মধ্যে ঢাকায় যারা সদস্য নন, তাদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।’ মতবিনিময়কালে বাজুস কেন্দ্রীয় নেতারা জেলার বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং তার সমাধান দেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাজুসের চাঁদপুর শাখার সভাপতি মো. মোস্তফা ফুল মিয়া। এছাড়া সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সহসম্পাদক মো. ইমরান চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. মজিবর রহমান খান।
বাজুসের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সফরের অংশ হিসেবে বরিশালেও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। এ সময় বাজুসের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বাজুসকে ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। বাংলাদেশ এখন শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং মেড ইন বাংলাদেশ সিল সংবলিত স্বর্ণবার দেশেই উৎপাদিত হবে।’
শেখ মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, বাজুসের বরিশাল শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন ও বরিশালের জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।
দেশের ঐতিহ্যবাহী সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুসের সাংগঠনিক এ সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, নওগাঁ ও জয়পুরহাটেও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।