আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তামার দাম

প্রকাশ: মে ০৪, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক বাজারে গতকাল বেড়েছে তামার দাম। ডলারের বিনিময় হার কমে যাওয়ার প্রভাবে ধাতুটির বাজারদর নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। এছাড়া সরবরাহ নিয়ে নতুন করে সৃষ্ট উদ্বেগও দাম বাড়াতে সহায়তা করেছে। 

লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) গতকাল তামার দাম আগের দিনের তুলনায় ১ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৯ হাজার ৮৬৭ ডলারে। এর আগের দিন ধাতুটির দাম ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে গিয়েছিল। 

জলবায়ু পরিবর্তন রোধের অংশ হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে বর্তমান বিশ্ব। ফলে এ খাতে অপরিহার্য ধাতু তামার চাহিদা বাড়ছে লাফিয়ে। কিন্তু বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে এ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবধানের কারণে আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে দাম। আগামী দুই বছরের মধ্যে তামার বৈশ্বিক দাম ৭৫ শতাংশেরও বেশি বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা। 

ধাতুটিকে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের অন্যতম নির্দেশক হিসেবে ধরা হয়। বৈদ্যুতিক উপকরণ ও শিল্প খাতের যন্ত্রাংশ তৈরিতে ধাতুটির ব্যবহার ব্যাপক। বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আভাসও তামার চাহিদা বৃদ্ধিতে বড় প্রভাব রাখছে। 

ফিচ সলিউশনের গবেষণা ইউনিট বিএমআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে স্থানান্তর এবং চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ডলারের সম্ভাব্য বিনিময় হার হ্রাস তামার বাজারকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলবে। 

বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চলতি বছর মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে। এতে ডলারের বিনিময় হার কমবে। এর ফলে অন্য মুদ্রার ক্রেতাদের কাছে ডলারে লেনদেন হওয়া তামার চাহিদা বাড়বে। 

কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনে ৬০টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিন গুণ করতে একমত হয়েছে। বিষয়টি তামার বাজারদর ব্যাপকভাবে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলবে বলে জানিয়েছে সিটিব্যাংক।

বিনিয়োগ ব্যাংকটি গত ডিসেম্বরে দেয়া এক পূর্বাভাসে জানায়, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রার কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে অতিরিক্ত ৪২ লাখ টন তামার চাহিদা তৈরি হতে পারে। ফলে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি টন তামার মূল্য ঠেকতে পারে ১৫ হাজার ডলারে। যা গত বছরের মার্চের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি।

বিশ্বজুড়ে তামার নতুন খনিগুলো নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। নিম্ন গ্রেড, অনুমোদন পেতে কঠোর প্রক্রিয়া, পরিবেশবাদীদের আন্দোলন, সামাজিক ও সরকারি নানা ইস্যু এবং ঊর্ধ্বমুখী করের মতো বিষয় খনিগুলোয় উত্তোলন বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে ধাতুটির সরবরাহ ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ তীব্র হচ্ছে। গোল্ডম্যান স্যাকস জানায়, চলতি বছর তামার বৈশ্বিক ঘাটতি দাঁড়াতে পারে পাঁচ লাখ টনে। 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫