পাঁচ অভয়াশ্রমে শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা

মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকারে নামবেন জেলেরা

প্রকাশ: এপ্রিল ৩০, ২০২৪

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বরিশাল ও চাঁদপুর

দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে। দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে জাল-নৌকা নিয়ে মাছ শিকারে নামবেন বরিশাল চাঁদপুর অঞ্চলের জেলেরা। এরই মধ্যে সে প্রস্তুতিও শেষ করেছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই মাসের অভিযান কঠোরভাবে পালিত হয়েছে। জেলেদের নদীতে নামতে দেয়া হয়নি। সম্মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা করায় এবার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইলিশ আহরণ হবে।

বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মোট ছয়টি অভয়াশ্রমের মধ্যে শুধু পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীর ৪০ কিলোমিটারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা পালিত হয় নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অভয়াশ্রমগুলোয় শুধু ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তবে অন্য মাছ ধরার অজুহাতে নদীতে নেমে ইলিশ নিধন না হয় সেজন্য সব ধরনের জেলে নৌকা পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকে সময়ে।

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ‘অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলো ইলিশসম্পদ রক্ষা এবং বড় ইলিশে পরিণত হওয়ার সুযোগ করে দেয়া। নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে জেলেদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে। দেয়া হয়েছে প্রণোদনা বা খাদ্যসহায়তা। বছর জেলেরা নদীতে নামলে প্রচুর ইলিশ পাবেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলার টিলাবাড়ী, পুরানবাজার দোকানঘর, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাখুয়া, বহরিয়া, হানারচর ইউনিয়নের হরিণা মাছঘাট আনন্দ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, জাল নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। নদীর কূলঘেঁষে বাঁধের ওপর রাখা হয়েছে সারি সারি নৌকা ইঞ্জিনচালিত ট্রলার।

এদিকে দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর চালু হচ্ছে ইলিশের ঘাট আড়তগুলো। রাত পোহালেই ঘাটে ভিড়বে ইলিশ। ক্রেতা-বিক্রেতা আড়তদারদের হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠবে ঘাটগুলো। একই সঙ্গে চালুর অপেক্ষায় রয়েছে বন্ধ থাকা বাকি চারটি বরফকল।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানান, মা-ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমের ফলে নদীতে ইলিশের উৎপাদন প্রতি বছরই বাড়ছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫