শিশুদের রক্তপ্রবাহ বা টিস্যুতে থাকা ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস হাড়কে সংক্রমিত করতে পারে, যার ফলে অস্টিওমাইলাইটিস হয়। শরীরের লম্বা হাড়ে সংক্রমণ বেশি দেখা যায়, তবে এটি যেকোনো হাড়কে প্রভাবিত করতে পারে। অস্টিওমাইলাইটিস একটি গুরুতর অবস্থা, যার জন্য অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
হাড়ের ইনফেকশনকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমে অ্যাকিউট, খুব তীব্র। আরেকটা আছে দীর্ঘস্থায়ী। আর একটা হলো এ দুটির মাঝামাঝি, সাব-অ্যাকিউট। শিশুদের প্রধানত যে উপসর্গ দেখা দেয়—
- জ্বর থাকা। অনেক ক্ষেত্রে জ্বর ১০২ ডিগ্রির ওপর চলে যায়।
- আঘাতের হিস্ট্রি থাকে। অনেক সময় শিশুরা বলতে পারে না যে আঘাত পেয়েছে। তখন জ্বর আসে।
- শিশুদের বমি বমি ভাব হয়। আবার ঠাণ্ডা লাগে, বাচ্চার কাঁপুনি হয়। এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায় অ্যাকিউটের ক্ষেত্রে।
বাচ্চাদের হাড়ের ইনফেকশন সারার সময়
অস্টিওমাইলাইটিসে আক্রান্ত বেশির ভাগ শিশু চিকিৎসা শুরু করার কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো বোধ করে। IV অ্যান্টিবায়োটিকগুলো প্রায়ই পাঁচ-দশদিনের মধ্যে মৌখিক ফর্মে সুইচ করা হয়। শিশুদের অন্তত এক মাসের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয় এবং কখনো কখনো লক্ষণ এবং রক্ত পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে।
অস্টিওমাইলাইটিস চিকিৎসা নাকি অস্ত্রোপচার?
অস্টিওমাইলাইটিস ছোট বাচ্চাদের (পাঁচ এবং তার কম) ক্ষেত্রে সাধারণ, তবে যেকোনো বয়সে ঘটতে পারে। ছেলেরা সাধারণত মেয়েদের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হয়। অ্যান্টিবায়োটিকগুলো প্রায়ই অস্টিওমাইলাইটিসের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারও করা হয়।
সূত্র: চিলড্রেন্স ন্যাশনাল