জানুয়ারি-মার্চ

দুর্বল চাহিদায় চীনে কয়লা উত্তোলন ৪.১ শতাংশ কমেছে

প্রকাশ: এপ্রিল ১৯, ২০২৪

বণিক বার্তা ডেস্ক

চীনে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কয়লা উত্তোলন কমেছে। দুর্বল চাহিদার পাশাপাশি অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে খনিগুলো সময় তুলনামূলক কম কয়লা উত্তোলন করে। দেশটির ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস তথ্য জানিয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত চীন ১১১ কোটি টন কয়লা উত্তোলন করে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উত্তোলন কমেছে দশমিক শতাংশ। মার্চে দেশটি ৩৯ কোটি ৯৩ লাখ ৩০ হাজার টন উত্তোলন করে। সে হিসেবে উত্তোলন কমেছে দশমিক শতাংশ।

অতিরিক্ত সরবরাহ দুর্বল চাহিদার কারণে স্থানীয় বাজারে কয়লার দামও গত মাসে ছিল নিম্নমুখী। সংশ্লিষ্টরা জানান, চীনের ইস্পাত সিমেন্ট উৎপাদন খাতে কয়লার চাহিদা লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে। এর মূল কারণ প্রপার্টি খাতে চলমান অস্থিরতা। তবে বিদ্যুৎ খাতে চাহিদা স্থিতিশীল ছিল।

চলতি বছর চীনে কয়লা উত্তোলন প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ার আভাস মিলেছে। সেখানে জ্বালানিটির উত্তোলন গত বছরের তুলনায় মাত্র কোটি ৬০ লাখ টন বা দশমিক শতাংশ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে চায়না কোল ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন অ্যাসোসিয়েশন (সিসিটিডি) উত্তোলনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৪৭০ কোটি টনে। 

সিসিটিডি জানায়, চীনের স্থানীয় বাজারে বর্তমানে কয়লার দাম অনেক কম। আগামী দিনগুলোয় দাম আরো কমতে পারে। এজন্য দেশটির রিয়েল এস্টেট খাত কিছুটা দায়ী বলে জানিয়েছেন সিসিটিডি গবেষণা বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ফেং হোয়ামিন। 

তিনি জানান, কয়লা উত্তোলনের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সাংশি। চলতি বছর সেখানকার খনিগুলো উত্তোলন কমাবে। নিরাপত্তাজনিত নজরদারি বাড়ায় উত্তোলনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এদিকে জ্বালানিটির বিপুল পরিমাণ মজুদের কারণেও খনিগুলো উত্তোলন কমাচ্ছে বলে জানা গেছে।

তবে চলতি বছর চীনে কয়লার ব্যবহার নিম্নমুখী থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) কারণ সময় সেখানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ঘুরে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি সৌর বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়ছে।

জলবায়ু পরিবর্তন রোধের অংশ হিসেবে বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনার জোর প্রচেষ্টা চলছে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে বর্তমান বিশ্ব। জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলনে প্রথমবারের মতো তেল, গ্যাস কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে বহুমুখী প্রচেষ্টার পরও কয়লার ব্যবহার বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। ফলে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫