ঈদে খাবারে সতর্কতা

প্রকাশ: এপ্রিল ১২, ২০২৪

বণিক বার্তা অনলাইন

পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। ঈদের দিন টেবিলে রকমারি খাবারের আয়োজন থেকে থাকে। রোজা শেষ হলে ঈদের দিন থেকে অনেকেই কিছুক্ষণ পরপর খাবার খান। এ সময় খাদ্যতালিকায় কী থাকছে, সেটি খেয়াল রাখা জরুরি।

কেউ কেউ আবার পছন্দের খাবার অতিরিক্তও খেয়ে ফেলেন। আবহাওয়া যে পূর্বাভাস দিচ্ছে, তাতে এ গরমে খাবার খেতে হবে একটু বুঝেশুনে। কারণ গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, ফলে পেটে দেখা দেয় নানা রকম সমস্যা। যে কারণে এ সময়ে পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, আমাশয় ইত্যাদি হতে পারে।

ঈদে কেউ ঝালজাতীয় খাবার বেশি খেয়ে থাকেন, আবার কেউ মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খান। কেউ একসঙ্গে দুটি খাবারই খেয়ে থাকেন। এ কারণে অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা হয়ে থাকে। এজন্য রমজান-পরবর্তী খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। 

তারা বলেন, ঈদের দিন স্বাভাবিকভাবেই সবাই অনেক রিচ ফুড খেয়ে থাকেন। এদিন সকালে ঘুম থেকে ঠার পর সেমাই-পায়েস ও জর্দাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার গরু বা খাসির গোশত, লুচি-পরোটাও খেয়ে থাকেন। ঝাল ও মিষ্টিজাতীয় খাবার একসঙ্গে খাওয়ার ফলে হজমজনিত সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারো কারো আবার গলায় ঢেকুর উঠে থাকে। এ সময় গলা ও বুক জ্বালা-পোড়া অনুভব হয়।

রমজানে এক মাস খাদ্যতালিকা মেনে চলা হলেও এরপর অনেকেই অনিয়মিত যা ইচ্ছে তাই খেয়ে থাকেন। এ সময় যেকোনো খাবারই পরিমিত খাওয়া উচিত।

পুষ্টিবিদদের ভাষ্যমতে, যেকোনো খাবারই পরিমিত খেতে হবে। আর প্রধান খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সময়মতো খেতে হবে।

এ সময় খাদ্যতালিকায় মাছ-মাংসের পাশাপাশি সবজি রাখা উচিত। লাউ, চাল কুমড়া, ঝিঙা, পটল ইত্যাদি জাতীয় সবজি রাখতে পারেন। আর তরল খাবারের গুরুত্ব তো রয়েছেই। কারণ রোজায় এক মাস দিনে পানি খাওয়া হয় না। এ কারণে পানিশূন্যতার শঙ্কা থাকে। আবার ফ্রুটস সালাদ খেতে পারে। কেউ কেউ অবশ্য বুরহানি ও টক দইও খেয়ে থাকে

 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫