জাহাজেই ঈদ উদযাপন জিম্মি বাংলাদেশী নাবিকদের

প্রকাশ: এপ্রিল ১০, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

বুধবার  বিশ্বের অন্যাান্য দেশের মতো সোমালিয়ায় ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা ঈদের নামাজ ও ঈদ উদযাপন করেছেন। নাবিকরা কর্মক্ষেত্রে থাকার সময় যেভাবে ঈদের নামাজ ও ঈদ পালন করেন এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি বলে জানিয়েছেন জাহাজটির বাংলাদেশী মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।

জানা গেছে, সোমালীয় জলদস্যুরা মুসলিম হওয়ায় বাংলাদেশী জিম্মি নাবিকদের ঈদ জামাত আয়োজনে বাধা দেয়নি। জাহাজে বন্দি অবস্থায় নাবিকরা সেখানে ঈদ উদযাপন করেন। ঈদের নামাজের পর তারা একসঙ্গে ছবিও তোলেন। নামাজের পর নাবিকদের অনেকে বাংলাদেশে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, বিদেশগামী জাহাজের নাবিকদের জীবন এমনই। জিম্মি না থাকলেও এসব নাবিকরা হয়তো গভীর সমুদ্রে সহকর্মীদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করত। সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে আটক নাবিকরা স্বাভাবিকভাবেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের মুক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মুক্তির পর তাদের দুবাই কিংবা বিকল্প কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর কেউ যদি দেশে আসতে চায় তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবার কেউ যদি নতুন কোনো রুটের জাহাজে উঠতে চায় সেই ব্যবস্থাও নেয়া হবে। সব মিলিয়ে ঈদের পর নাবিকদের ঊদ্ধারে ভালো সংবাদ দিতে পারব।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর জাহাজটিকে তারা সোমালীয় উপকূলে নিয়ে যায়। মূলত জাহাজ জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করাই থাকে জলদস্যুদের উদ্দেশ্য।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫