চাহিদা নেই স্বর্ণালংকারের

যশোরে ঝুঁকির মুখে শতকোটি টাকার বিনিয়োগ

প্রকাশ: এপ্রিল ০৭, ২০২৪

আবদুল কাদের I যশোর

ঈদে-উৎসবে স্বর্ণালংকারের চাহিদা বাড়লেও এবারের চিত্র ভিন্ন। দফায় দফায় দাম বাড়ার কারণে চাহিদা নেই বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে স্বর্ণালংকার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত যশোরের দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শতকোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। 

ব্যবসায়ীরা জানান, যশোরে দেড় শতাধিক স্বর্ণালংকারের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে ৫০টির মতো। বেচাকেনা না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত প্রায় ২০ হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছে। এমন অবস্থায় অলংকার তৈরির সঙ্গে জড়িতদের কেউ কেউ আবার অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। 

শহরের কাঁসাপট্টির গীতাঞ্জলি জুয়েলার্সের মালিক রতন দে জানান, চার-পাঁচ বছর ধরে স্বর্ণের ব্যবসা নেই বললেই চলে। স্বর্ণের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে আগামীতে আর হয়তো ব্যবসা করা যাবে না।

বর্তমানে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চে অবস্থান করছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় প্রতিদিনই বাড়ছে মূল্যবান ধাতুটির দাম। এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। সর্বশেষ গতকাল স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন। 

সরজমিনে দেখা গেছে, যশোর শহরের এইচএমএম রোড বা স্বর্ণপট্টিতে অধিকাংশ স্বর্ণের দোকানই ফাঁকা। কিছু বড় দোকানে অল্প ক্রেতার আনাগোনা আছে। বাড়তি দামের কারণে গত শীত ও বিয়ের ভরা মৌসুমেও বাজারে স্বর্ণালংকারের ক্রেতা ছিল না বলে জানিয়েছেন যশোরের স্বর্ণালংকার ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা। তারা বলেন, ঈদের ভরা মৌসুমে শহরে গহনা বিক্রি কমেছে আগের চেয়ে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫