হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম নির্ধারণ

প্রকাশ: এপ্রিল ০৪, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ২৩টি স্টেন্ট বা রিংয়ের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। জরুরি এ উপকরণের মূল্য প্রকারভেদে সর্বনিম্ন ২০ হাজার ও সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার টাকা বেঁধে দিয়েছে ওষুধ নিয়ন্ত্রক সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। গত মঙ্গলবার অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়। 

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘এটা দাম বাড়ানো-কমানোর ধারাবাহিকতার একটা অংশ। আমরা দীর্ঘদিন থেকে স্টেন্টের দাম কমানোর চেষ্টা করছিলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এটা করা হয়েছে। এখন থেকে সবাই এ দামে স্টেন্ট বিক্রি করবেন। সব হাসপাতালে নতুন এ মূল্যতালিকা টানিয়ে রাখতে হবে।’

দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন দেশের তৈরি ২৬ ধরনের স্টেন্ট ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। নতুন মূল্যতালিকায় এগুলোর দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। মাস কয়েক আগে তিনটি স্টেন্টের দাম কমানো হয়েছিল, যেগুলো এখন অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত ডিসেম্বরে ঔষধ প্রশাসন যখন স্টেন্টের দাম নির্ধারণ করে দেয় তখন আমদানিকারকদের একটি বড় অংশ তা নিয়ে আপত্তি তুলে সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল। বিষয়টি পরে আদালতেও গড়ায়। 

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মঙ্গলবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ও অন্যান্য দেশের হার্টের রিং উৎপাদনকারী কোম্পানির প্রতিনিধি ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলেই বিভিন্ন কোম্পানির হার্টের রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা যদিও বলছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে কার্ডিয়াক স্টেন্টের দাম কমিয়ে হৃদরোগীদের যে স্বস্তির খবর দিয়েছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তা বাস্তবায়ন করেনি। সেই অস্থিতিশীলতার মধ্যে সাড়ে তিন মাসের ব্যবধানে কার্ডিয়াক স্টেন্টের দাম বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে রিং ভেদে দাম বেড়েছে ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানির তিন ধরনের স্টেন্টের দাম কমায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তখন ‘রেজোলিউট ইন্টেগ্রিটি’ ধরনের স্টেন্টের ভিত্তিমূল্য ৮৮০ থেকে কমিয়ে ৫০০ ডলার, রেজোলিউট ওনিক্সের দাম ১ হাজার ১৫০ থেকে কমিয়ে ৯০০ ও ওনিক্স ট্রকারের দাম নির্ধারণ করা হয় ৪৫০ ডলার। নতুন তালিকায় এ তিন স্টেন্টের মূল্য রাখা হয়নি। 

সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, এ তিন স্টেন্টের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর অধিদপ্তর আরো বিভিন্ন ধরনের স্টেন্টের দাম নির্ধারণ করে দেয়, যা কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর থেকে। তার আগে স্টেন্টের দাম ছিল সর্বনিম্ন ১৪ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তখন নতুন দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় প্রকারভেদে স্টেন্টের দাম ৪০-৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে এসেছিল।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫