শ্রীলংকার কাছে সিলেট
টেস্টে বড় ব্যবধানে হারের পর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও হারের মুখে বাংলাদেশ।
৫১১ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান তুলে চতুর্থ দিন মাঠ ছেড়েছে
স্বাগতিকরা। ৩ উইকেট হাতে নিয়ে এখনো ২৪৩ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের, আর সিংহলিজদের জিততে
প্রয়োজন আর ৩টি উইকেট।
এই পরিস্থিতি থেকে একমাত্র
বৃষ্টিই হয়তো বাঁচাতে পারে স্বাগতিকদের। আজ দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা
মুমিনুল হক সৌরভ স্কোরবোর্ড নিয়ে বলেন, ‘আমরা যদি ৪ উইকেটে এই রানটা করতে পারতাম তবে
হয়তো আগামীকাল (আজ) ম্যাচের পরিস্থিতি আরেকটু ভালো হতো। হাতে বেশ কয়েকটি উইকেট থাকলে
সকালের দুই সেশনে বেশ কিছু রান আসতো। সেক্ষেত্রে ব্যবধানও অনেক কমে যেত। এখন এই পরিস্থিতি
থেকে ব্যাক করা কঠিন। আমি আশাবাদী থাকলেও কঠিনই বলব।’
বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়েও
৫০ রান করে আউট হয়েছেন মুমিনুল। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ৪ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেন তিনি। তবে তার আউট নিয়ে অনেকে
বিস্মিত হয়েছেন। নিজের আউট নিয়ে তিনি বলেন, ‘ড্রিংকসের ওই সময় এমন শট খেলা উচিত হয়নি
আমার। তবে এটা ঠিক, আমি মোটেও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলিনি। উইকেটটা বেশ ভালো ছিল বলেই আমি
নরমাল ব্যাটিং করেছি। আর যে শটে আউট হয়েছি, সেটি বলতে পারেন ক্যালকুলেটিভ রিস্ক। যারা
আউট হয়েছে তাদের বেশিরভাগই সেট হয়ে আউট হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে ট্র্যাপ থাকে,
চ্যালেঞ্জ থাকে। তাই একটু এদিক-ওদিক হলেই আউট হয়ে যেতে হয়।’
বর্তশান দলের খেলোয়াড়দের
টেস্টের প্রতি আগ্রহ আছে বলে মনে করেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘বর্তমান দলটায় যারা তরুণ
আছে সবাই টেস্ট খেলার প্রতি খুব আগ্রহী, নিবেদিত। তবে ফলাফল না আসলে সবকিছু অন্যরকম
মনে হতে পারে। যারা আছে এটা সবাই জাতীয় লিগটা নিয়মিত খেলে। আমার সাথে যারা আছে সবারই
টেস্ট খেলার প্রতি আগ্রহ আছে সবার।’