ডাউন সিনড্রোম

অটিজম ও ডাউন সিনড্রোমের মধ্যে পার্থক্য

প্রকাশ: এপ্রিল ০১, ২০২৪

ফিচার ডেস্ক

অটিজম 

অটিজম হলো ব্রেনের একধরনের ত্রুটি, যে ত্রুটির কারণে জন্মের পর থেকে শিশুর স্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধি হলেও মানসিক বৃদ্ধি হয় না। একজন ব্যক্তির যোগাযোগ, সামাজিকীকরণ ও অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে অটিজম। এটি একটি স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার, যার মানে এটি ব্যক্তিকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে এবং লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে। অটিজমের কিছু সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে:

 সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় অসুবিধা

 কথা বলায় জড়তা 

 পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ 

 সমবয়সীদের থেকে দূরে থাকা 

 রুটিনে পরিবর্তন হলে অসুবিধা

অটিজম সাধারণত শৈশবকালে নির্ণয় করা হয় এবং বর্তমানে এ ব্যাধির কোনো প্রতিকার নেই।  প্রাথমিক হস্তক্ষেপ এবং থেরাপি অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা বিকাশ করতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

ডাউন সিনড্রোম 

মানবদেহে প্রতিটি কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা থাকে ৪৬টি। ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রতিটি দেহকোষে ২১তম ক্রোমোজোমে একটি অতিরিক্ত ক্রোমোজোম থাকে, যাকে ‘ট্রাইসমি ২১’ বলা হয়। এ অতিরিক্ত ক্রোমোজোমটির কারণে বিশেষ কিছু শারীরিক ও মানসিক ত্রুটি নিয়ে ডাউন সিনড্রোম শিশুর জন্ম হয়। ২১তম ক্রোমোজোমের অসংগতির ফলে ডাউন সিনড্রোম দেখা দেয়। ডাউন সিনড্রোমের কিছু সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে:

 বুদ্ধি কম থাকা 

 কথা বলতে দেরি হওয়া 

 মাংসপেশির গঠন সঠিক হয় না

 জিহ্বা বের হয়ে থাকা  

 মুখের আকৃতির ভিন্নতা 

ডাউন সিনড্রোম সাধারণত জন্মের সময় নির্ণয় করা হয়। এ ব্যাধির কোনো প্রতিকার নেই। প্রাথমিক হস্তক্ষেপ ও থেরাপি ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা বিকাশ করতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

যদিও অটিজম ও ডাউন সিনড্রোম উভয় ক্ষেত্রেই ভাষার বিকাশ এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটাতে পারে। তবে দুটি ব্যাধির মধ্যে কিছু মূল পার্থক্য রয়েছে। অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে লক্ষণ ও শারীরিক সক্ষমতার ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাধারণত একই রকম শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বৈশিষ্ট্য থাকে। আরেকটি মূল পার্থক্য হলো যে অটিজম সাধারণত শৈশবকালে নির্ণয় করা হয়, যখন ডাউন সিনড্রোম সাধারণত জন্মের সময় নির্ণয় করা হয়। উপরন্তু অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ করতে থাকে। অন্যদিকে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাংসপেশির গঠন সঠিক হয় না এবং মুখের বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা থাকে।

সূত্র: ট্রিটপ


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫