রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সঠিক তথ্য দিতে পারেনি মন্ত্রণালয় —এ কে আব্দুল মোমেন

প্রকাশ: মার্চ ৩০, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘‌নির্বাচনের আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে অনেকটা অগ্রগতি হলেও নানা কারণে তা থেমে যায়। সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে কমিটির বৈঠকে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি।’

গতকাল রাজধানীতে ন্যাম ভবনে নিজ বাসায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বেশ ভালো অবস্থানে গিয়েছিলাম। নির্বাচনের আগে একপর্যায়ে বলেছিল, একটা গ্রুপ নেবে, ১২০০ বা তার কিছু বেশি। ছোট পরিসরে শুরু হবে। সে কারণে তারা আমাদের দেশে কয়েকবার এসেছে। আমাদের দেশ থেকেও গিয়েছেন। তারপর কিছু বিদেশী প্রতিষ্ঠান বলল যে রাখাইন এলাকাগুলোয় অনিশ্চয়তা আছে। তারা তখন বাধা দিল। এর সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তারাও ওই কথায় সায় দিলেন। ফলে সে কাজ আর হয়নি।’

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এখন অন্য রকম অবস্থা দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দ্বিপক্ষীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য পদ্ধতিটি চালু করেছিলাম। সেটি এখনো চলমান আছে। কিন্তু কত দূর অগ্রগতি হয়েছে, এ মুহূর্তে আমি জানি না। এ বিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসা করেছি, তারা কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি।’

বিদেশী মিশনগুলোয় প্রবাসী বাংলাদেশীদের সেবার মান বাড়ানোর উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশ-বিদেশে প্রায়ই প্রবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ পাই। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সব মিশনে একটি অভিযোগ বক্স তৈরি করেছিলাম। তারপর হটলাইন চালু করেছিলাম। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন মিশনে সাধারণ মানুষ যখন ফোন করে, তারা যথেষ্ট সাড়া পান না। আমি থাকতে সব মিশন দেখভালের জন্য একজন সিনিয়র অ্যাম্বাসেডরকে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব অল মিশনস বানিয়েছিলাম। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব অল মিশনস প্রতি মাসে প্রধান মিশনগুলোয় মানুষ কতগুলো অভিযোগ দিয়েছে, কতগুলোর সুরাহা হয়েছে, সেগুলো সংসদীয় কমিটিকে জানাবেন। তাতে মনে করি আমাদের সেবার মান আরো ভালো হবে।’

মোমেন বলেন, ‘‌গত নির্বাচনের আগে মানবাধিকার ইস্যুতে খুব হইচই হতে দেখেছি। আগামীতেও হয়তো এসব ইস্যুতে হইচইয়ের সম্ভাবনা আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মানবাধিকার-সংশ্লিষ্ট উইং করার প্রয়োজন আছে কিনা সেটি যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তাব দিয়েছি। উনারা যাচাই-বাছাই করে সেটি জানাবেন।’

সোমালিয়ায় অপহরণ হওয়া নাবিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে চেয়েছি নাবিকদের অবস্থা কেমন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছে। সোমালিয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপ হয়নি, কিন্তু উনি বলেছেন আলোচনা ইতিবাচক।’

প্রবাসী মিশনগুলোয় স্থায়ী সেলফোনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, ‘‌আমাদের অনেক দেশে মিশনে অ্যাম্বাসেডর সাহেবের টেলিফোন আছে। উনি ওখান থেকে ট্রান্সফার হয়ে গেলে টেলিফোন সঙ্গে করে নিয়ে যান। ফলে অনেকে টেলিফোনে পান না। এজন্য আমরা বলেছি সব মিশনে ইউনিক সেলফোন থাকতে হবে। মিশনের অ্যাম্বাসেডরের ইউনিক সেলফোন থাকলে যোগাযোগ করা সহজ হবে।’


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫