মার্জিন ঋণের অনাদায়ী ক্ষতি

সঞ্চিতি সংরক্ষণে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিল বিএসইসি

প্রকাশ: মার্চ ২৯, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ার কেনার জন্য গ্রাহকদের মার্জিন ঋণ দেয় দেশের পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। এক্ষেত্রে শেয়ারের দাম কমে গেলে মার্জিন ঋণ হিসেবে যে পরিমাণ অনাদায়ী ক্ষতি হয় তার বিপরীতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঞ্চিতি সংরক্ষণের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সঞ্চিতি সংরক্ষণের সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

গতকাল বিএসইসির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যেসব স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকার গ্রাহকের পোর্টফোলিওতে পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে পারেনি তাদের জন্য সঞ্চিতি সংরক্ষণের সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে এ সময়সীমা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ফোর্সড সেল ও প্যানিক সেল যাতে না হয় সেজন্য এ সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে পুঁজিবাজার নিম্নমুখী হওয়ার কারণে স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকারদের আয় কমে গেছে। এ অবস্থায় তাদের অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হলে লোকসান গুনতে হবে। এ কারণে কমিশন সঞ্চিতি সংরক্ষণের মেয়াদ সাত মাস বাড়িয়েছে। এতে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছি।’

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি: গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। অবশ্য সূচক বাড়লে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সূচক কমলেও বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর ১০ মিনিট ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। এর পর থেকেই অস্থিরতা দেখা যায় পুঁজিবাজারে। অবশ্য শেষ ঘণ্টায় শেয়ার কেনার চাপ বাড়ায় শেষ পর্যন্ত গতকাল দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৭৬৩ পয়েন্ট। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১২ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ২৫২ পয়েন্ট। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, রবি আজিয়াটা, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস ও নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের।

ডিএসইতে গতকাল ৪১১ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ২২১টির, কমেছে ১২০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫৪টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫