রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অভিযোগ

অভিযানের নামে সংস্থাগুলো চাঁদাবাজি শুরু করেছে

প্রকাশ: মার্চ ১৯, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এ অভিযানের সুযোগে সবগুলো সংস্থা চাঁদাবাজি শুরু করেছে। বিভিন্নভাবে মালিকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। 

গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা এ অভিযোগ তোলেন। বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক অভিযানের নামে রেস্তোরাঁ সেক্টরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মালিক পক্ষ দাবি করেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে প্রায় ৮০০ রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁগুলোর শ্রমিক ও কর্মচারীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক্ষেত্রে রেস্তোরাঁর সঠিক কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও রাজউক অনধিকার চর্চা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মালিক পক্ষ। এ সময় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা বলে অভিযোগ করেন নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তাতে বলা হয়, সরকারি বিধি অনুযায়ী, কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ছয় মাস আগে নোটিস দিতে হয়। বিনা নোটিসে এভাবে ভাংচুর করে, বন্ধ করে দিচ্ছে রেস্তোরাঁ। রাজউকের এফ-১ ও এফ-২-এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা জানি, কমার্শিয়াল স্পেসে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা যাবে। রাজউকের ২০২২-২০৩৫ সাল পর্যন্ত ড্যাপেও ব্যবসায়ীদের ভবনের মিশ্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স দিলেন, বাণিজ্যিক হারে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিল নিচ্ছেন। পাঁচ বছর ধরে ব্যবসা চলছে, এত দিন দেখলেন না? এখন কোনো নোটিস না দিয়ে ভেঙে ফেলছেন, বন্ধ করছেন। এটা অমানবিক।’


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫