সন্তান ধারণে জটিলতা...

প্রকাশ: মার্চ ১৮, ২০২৪

ফিচার ডেস্ক

জরায়ুতে সিস্ট থাকলেও গর্ভধারণ করা যায়। তবে এন্ডোমেট্রিওসিসের মতো অন্তর্নিহিত অবস্থার কারণে নারীর ফার্টিলিটিতে সমস্যা হতে পারে। এন্ডোমেট্রিওসিস হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে টিস্যুগুলো জরায়ু ইমপ্লান্টের আস্তরণের অনুরূপ বা জরায়ুর বাইরের দিকে বাড়তে থাকে, যেমন আপনার ডিম্বাশয় বা ফেলোপিয়ান টিউবে।

এ অবস্থায় গর্ভবতী হওয়া সম্ভব। অল্প বয়সে গর্ভধারণ করলে ওভারিয়ান সিস্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে এ ধরনের সিস্ট তেমন কোনো ক্ষতি করে না। তবে গর্ভাবস্থায় সিস্ট বাড়তে থাকলে কোনো নারী কয়েকটি সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রসবের সময় সিস্টগুলো ফেটে যাওয়া, পেঁচিয়ে যাওয়া ছাড়াও অন্যান্য নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। 

সুস্থ থাকার জন্য নারীকে গর্ভাবস্থায় একজন দক্ষ স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থাকা অনেক জরুরি। এ ধরনের কোনো জটিলতা থাকলে একজন গর্ভবতী নারীকে অভিজ্ঞ গাইনিকোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সব চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। 

সিস্ট থাকলেও বাচ্চা নেয়া যায়, ওভারিয়ান সিস্ট ডিম্ব স্ফুটনের সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে গর্ভধারণ কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু তারও চিকিৎসা আছে। তাই আবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় সিস্ট হলে সিস্টটি যদি পাক খেয়ে ঘুরে না যায়, তাহলে সিস্টকে কিছুই করা হয় না। গর্ভাবস্থার ১৪-২০ সপ্তাহের মধ্যে সিস্ট সার্জারি করা যেতে পারে। তবে ১৪ সপ্তাহের আগে বা ২০-২৪ সপ্তাহের পরে সার্জারি করা যাবে না। পাঁচ সেন্টিমিটারের নিচে সিস্টের অপসারণের প্রয়োজন নেই।

সূত্র: পেন মেডিসিন 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫