রমি-রাইসা জুটির উদ্যোগ ‘কাঠের পুতুল’

প্রকাশ: মার্চ ১১, ২০২৪

মো. আশিকুর রহমান

মহামারী করোনার সময় ঘরবন্দি জীবনে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সারা দেশে শাড়ি বিক্রির পরিকল্পনা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। রেজুয়ান রহমান রমি ও ফাওজিয়া খান রাইসা দুজন দুই জেলার বাসিন্দা। রমির বাস টাঙ্গাইলে। তার ভাষায়, ‘‌আমার বাসা যেহেতু টাঙ্গাইলে, আমার বাসার পাশেই সব টাঙ্গাইলের শাড়ি উৎপাদন হয়, সেই শাড়িগুলো অনলাইনে আমরা সেল করতে পারি কিনা, এ ধারণা থেকেই শুরু। যেহেতু নিজেদের এলাকা থেকেই হচ্ছে,  নিজ এলাকার অর্থনৈতিক দিকের পাশাপাশি নিজেও স্বাবলম্বী হতে পারব।’ এমন ভাবনা সামনে রেখে পা বাড়ান রমি-রাইসা। আজ তারা সফল উদ্যোক্তা।

বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে‘কাঠের পুতুল’ নামক একটি দোকান রয়েছে তাদের। মূলত তাঁত ও অন্যান্য শাড়ি পণ্য। অনলাইন ও অফলাইন মিলিয়ে প্রতি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকার মতো আয় হয় তাদের। যার মধ্যে অনলাইনেই বেশি টাকা উপার্জন হয়। বিভিন্ন উৎসবের মৌসুমে এর পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। দোকানে তিন-চারশ পিস শাড়ি সবসময় স্টকে থাকে তাদের। শাড়ির পাশাপাশি রয়েছে পাঞ্জাবিও। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং জুয়েলারি, পাঞ্জাবির সঙ্গে কম্বো প্যাক, আবার শাড়ি-পাঞ্জাবি, কাপল কম্বোও রয়েছে। প্রবাসীদের থেকেও অর্ডার পান তারা। 

ব্যবসার শুরুটা হয়েছিল বিনা পুঁজিতে। তাঁতিবাড়ির কাছে বাড়ি থাকায় বিষয়টা আরো সহজ হয়েছিল। রমি বলেন, ‘‌প্রথমে তাঁতিবাড়িতে গিয়ে পছন্দের শাড়ির ছবি তুলে অনলাইনে অর্ডার নিতাম। সেই সময় ক্যাশ অন ডেলিভারি না নিয়ে পুরোটা অ্যাডভান্স পেমেন্ট নিতাম। সেই টাকা দিয়েই শাড়ি কিনতাম। লাভের অংশটা আমাদের পুঁজি হিসেবে সঞ্চয় হয়েছে। শুরুতে ক্যাম্পাসের বন্ধুবান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়ররা অর্ডার করত, সেখানে ট্রাস্টের কোনো ইস্যু ছিল না। এভাবে শূন্য থেকেই শুরু হয়েছিল, লভ্যাংশটাই আমাদের পুঁজি হিসেবে দাঁড়িয়েছে।’


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫