বেশ কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। সরবরাহ বাড়ায় দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশী পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে। দেশীয় পেঁয়াজ সরবরাহের পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রায় প্রতি দোকানেই যথেষ্ট পরিমাণ দেশী পেঁয়াজ রয়েছে। দামও আগের তুলনায় কিছুটা কমতির দিকে রয়েছে। দুদিন আগে পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশী মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০-১০৫ টাকা দরে। খুচরা ১২০ টাকা কেজি। সরবরাহ বাড়ায় বর্তমানে দাম কমে পাইকারিতে ৮৫ এবং খুচরা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে মেহেরপুরের পেঁয়াজ দেখা গেছে, যা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রোববার এ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি দরে।
প্রসঙ্গত, পেঁয়াজ রফতানি নিরুৎসাহিত করতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর রফতানিমূল্য তিন গুণের মতো বাড়িয়ে এক লাফে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে ভারত। সেই মূল্যেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছিলেন আমদানিকারকরা। পরে ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণ দেখিয়ে চার মাসের জন্য পেঁয়াজ রফতানি স্থগিত করে দেশটির সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ ঘোষণা কার্যকর থাকবে।