সস্তা শ্রম দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া হওয়া যাবে না

প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪

ড. আশিকুর রহমান অর্থনীতি বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদ। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ইকোনমিস্টস ফোরামের (বিইএফ) সদস্য সচিব। তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস (এলএসই) থেকে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক অর্থনীতির ওপর পিএইচডি লাভ করেন। তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশন, বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইরি ও জাইকা। সাম্প্রতিক অর্থনীতির নানামুখী সংকট ও নতুন বছরে নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেন বণিক বার্তায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবিদিন ইব্রাহিম

গত বছর অনেকগুলো অবকাঠামো চালু হয়েছে। এসব অবকাঠামো অর্থনীতিতে গতিশীলতা বৃদ্ধি করবে। সমালোচকরা বলছেন, এখানে বড় অংকের ব্যয় হয়েছে। ঋণ হয়েছে। বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় অনেক ঋণ হয়েছে। উচ্চ সুদে খুব দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। ফলে আমরা আরো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে পড়ব কিনা। 

আমি এ ঋণগুলো নেয়াকে কোনোভাবেই নেতিবাচকভাবে দেখি না। আপনার ঋণ নেয়ার যোগ্যতা আছে বলে আপনাকে ঋণ দেয়া হয়েছে। আপনি টাকা ফেরত দিতে পারবেন বলে আপনাকে মানুষ ঋণ দিয়েছে। আপনি এ টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু বানিয়েছেন, মেট্রোরেল বানিয়েছেন। বিদ্যুৎ খাতের নির্মাণে ব্যয় করেছেন, এখন এগুলো সব আপেক্ষিক কথাবার্তা যে ১০ টাকায় বিনিয়োগ হয়েছে বা ১২ টাকায় বিনিয়োগ হয়েছে, না ৯ টাকায় করতে পারত। আমাদের দেশে একটা পদ্মা সেতু নিজের টাকায় তো কেউ করতে পারেনি। এ সরকার পেরেছে। কোনো সরকার মেট্রোরেল দিতে পারেনি। একটা সরকার পেরেছে। কোনো সরকার নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট করতে পারেনি। এ সরকার পেরেছে। কেউ বেশি টাকায় পারত কেউ কম টাকায় পারত, এটা সবই আপেক্ষিক আলোচনা। 

আমি সেই আপেক্ষিক আলোচনা বা রিয়েলেটিভ ডিসকাশনে যেতে চাই না। আমি মনে করি, আমাদের যে ইনভেস্টমেন্টগুলো হয়েছে তার দৃশ্যমান ফল মানুষ পাচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়ের ফল ঢাকাবাসী পাচ্ছে। মেট্রোরেলের ফল ঢাকাবাসী পাচ্ছে। পদ্মা ব্রিজের ফল আমরা যারা ভোলা যাই বা বরিশাল যাই তারা পাচ্ছি, এ ফলগুলো আমরা পাচ্ছি। 

কিন্তু আমরা তো ১০০ বিলিয়ন ডলারের ঋণে পড়লাম। বিশাল অংকের এ ঋণের কী ঝুঁকি দেখছেন? 

হ্যাঁ, এটাকে আরো ভালোভাবে করা যায়, সব জায়গায় এ যুক্তি দেয়া যায়, কিন্তু আপনি যে পয়েন্টটা বলছেন যে আমার ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণ হওয়ার কারণে আমার কোনো সামষ্টিক অর্থনীতিতে ঝুঁকি (ম্যাক্রোইকোনমিক রিস্ক) তৈরি হয়েছে কিনা। এ ঝুঁকি তো এক বছর আগে পর্যন্ত ছিল না। ঝুঁকি তা এল গত দুই বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু ভুল নীতির কারণে। গত দুই বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার আমাদের রিজার্ভ থেকে চলে গেছে। আজকে আমরা বিনিময় হারের (এক্সচেঞ্জ রেট) ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমরা সুদের হারের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। ২০২২ সালের মার্চে যদি আমরা বিনিময় হার এবং সুদের হারের ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারতাম, যেটা ভারত নিয়েছে, যেটা পৃথিবীর ৫০টা দেশ নিয়েছে তাহলে এ ১৮ মাসে ২০ বিলিয়ন ডলার আমি হারাতাম না। সেই ২০ বিলিয়ন ডলার যদি আমি না হারাতাম ১০ বিলিয়ন ডলার হারাতাম বা ৮ বিলিয়ন ডলার হারাতাম বা ১২ বিলিয়ন ডলার হারাতাম। তাহলে আমার রিজার্ভ ৩০-এর ঘরে থাকত বা ২৫-এর ঘরে থাকত বা ২৮-এর ঘরে থাকত। আমার রিজার্ভ যদি ৩০, ২৫ বা ২৮-এর ঘরে থাকত তাহলে আমাদের জন্য বৈদেশিক ঋণ কোনো সাবজেক্ট ছিল না। সুতরাং আজকে যে ঋণের প্রশ্নগুলো আসছে, সেটা এসেছে কারণ সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনা (ম্যাক্রোইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট) গত এক বছর ভুল হয়েছে, এটার সঙ্গে মেগা অবকাঠামোর (ইনফ্রাস্ট্রাকচার) কোনো সম্পর্ক নেই। আমার যদি মেগা অবকাঠামো আমি না বানাতাম তাহলে কি বাংলাদেশের এ ১৫ বছরে এ অর্থনৈতিক উন্নয়ন আপনি দেখতে পারতেন। ২ হাজার ৫০০ ডলার মাথাপিছু আয় হতো? হতো না তো। এ প্রত্যেকটা বিনিয়োগের একটা চুইয়ে পড়া প্রভাব আমার কাছে গেছে, আপনার কাছেও গেছে। আমরা হয়তোবা এটা বুঝতে পারছি না, ইকোনমিতে ডিমান্ড তৈরি হয়, ডিমান্ড হলে উৎপাদন তৈরি হয়, উৎপাদন হলে চাকরি হয়। এটার চুইয়ে পড়া সুবিধাগুলোও সবাই পাচ্ছে। আজ থেকে ১৫ বছর আগে বাংলাদেশে কয়টা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ছিল। আজকে কয়টা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আছে। আর ১৫ বছর আগে কয়টা স্টিল ফ্যাক্টরি ছিল, আজকে কয়টা স্টিল ফ্যাক্টরি আছে। এগুলোর জায়গায় কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি? কয়টা সিরামিক ফ্যাক্টরি ছিল। আজকে কয়টা সিরামিক ফ্যাক্টরি আছে। কয়জন পাথর আমদানি করত, কয়টা ঠিকাদারি (কন্সট্রাকশন) কোম্পানি ছিল। আজকে কয়টা আছে। এই যে বিনিয়োগগুলো হয়েছে, বিনিয়োগগুলো হওয়ার কারণেই তো এ কোম্পানিগুলো তৈরি হয়েছে, কর্মসংস্থানগুলো তৈরি হয়েছে। এটাকে আমরা সমস্যা মনে করি না। আমাদের সমস্যাগুলো সুশাসন। সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন—এ দুই জায়গায় আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার দেখাতে হবে। আমাদের যে অর্থনৈতিক ভিশন-২০৪১ সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে, যদি আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো একটা অর্থনৈতিক পরিবর্তন চাই, যদি আমরা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতগুলোর মতো মৌলিক খাতগুলোকে একদম ঢেলে সাজাতে চাই তাহলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করা ছাড়া বা অর্থ ব্যবস্থাকে দুর্বল রেখে আমরা কোনো বড় অর্থনৈতিক নেতৃত্ব নিতে পারব না। 

আমাদের রফতানির ৮০-৮২ ভাগ তৈরি পোশাক, আমরা অন্যান্য শিল্প খাতকে আরো কীভাবে রফতানিমুখী বানাতে পারি? 

দেখেন, আমি আপনাকে একটা কথা বলি। এটাকে আমি একটা ঝুঁকির ব্যাপারও দেখি। এই যে আমাদের যে ইকোনমিক আমরা যে পণ্যটা রফতানি করি। সেটার যে বহুমুখীকরণ আমরা করতে পারিনি, বাজারেরও যে সে রকম বহুমুখীকরণ আমরা করতে পারিনি, এটার কিছু ঝুঁকি আছে আমাদের অর্থনীতিতে। শিক্ষা খাত, স্বাস্থ্য খাত, রেমিট্যান্স বা তৈরি পোশাক খাত—এ খাতগুলোকে একসঙ্গে নিয়ে কথা বলি। 

আপনি দেখেন রেমিট্যান্স এবং তৈরি পোশাক খাত—এ দুটোই সস্তা শ্রমের ওপর নির্ভরশীল। অল্প দক্ষ, সস্তা শ্রমের জায়গা থেকে কিন্তু আমরা প্রতিযোগিতায় পড়ছি। এখন আপনি দেখেন, পৃথিবী আগামী পাঁচ বা ১০ বছরে অটোমেশন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে সামগ্রিক উৎপাদন প্রক্রিয়াটা মানুষ বা শ্রমমুক্ত হয়ে যাবে। আমরা বলেছি, গাড়ি হবে চালকমুক্ত। সেই ১০ বছরে যে অর্থনৈতিক পরিবর্তনটা আসবে, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনটা আসবে তখন তো বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা ভিয়েতনামের মতো দেশ তার প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাটা হারাবে। তাই সে জায়গাটাকে মাথায় রেখে আমার অর্থনৈতিক জায়গায় বৈচিত্র্যকরণ দরকার। 

আমি যদি আমার সব ডিম একটা ঝুড়িতে রাখি, তাহলে ডিমের দাম বাড়লে আপনার যেমন লাভ হবে তেমনি ডিমের দাম কমলে ক্ষতিও হবে। তাই সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখা উচিত নয়। অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ আমাদের জন্য একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও রোবোটিকস অটোমেশনগুলোর কারণে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনগুলো আসছে সেটাকে সামনে রেখে যদি আমাদের অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে না সাজাই তাহলে এটা হবে না। 

কভিড-১৯ মহামারীতে কোটি কোটি শিশু দুই বছর স্কুলে যেতে পারেনি। কারণ তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতকে আমরা স্কুলে নিতে পারিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর কতদূর?

গ্রামের স্কুলের লাখো লাখো শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট প্রযুক্তির বাইরে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব নয়। যদি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকত তাহলে একজন শিক্ষক জুম ক্লাসের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা চালাতে পারত। কোনো শিক্ষক ঢাকা থেকে একটা লেকচার দিতেন তাহলে সেটা দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে একই সময় দেখানো যেত। কিন্তু কভিডকালে আমরা তো সেটা পারিনি। তাহলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে সুবিধা আসবে তা আপনি কীভাবে নেবেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো ক ফর কলা, গ তে গরু শেখাচ্ছে। এ ভাষা ব্যবহারের জন্য। এটা দিয়ে তো আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারব না। এ জায়গায় আমাদের অবশ্যই আধুনিক হতে হবে। অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ দরকার। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। আমরা যদি চিন্তা করি যে শুধু তৈরি পোশাক খাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া হয়ে যাব তাহলে তো হবে না। এ সস্তা শ্রম দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া হওয়া যাবে না। অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে। অর্থনীতিতে দুটি কথা আছে—লো হিউম্যান ক্যাপিটাল ও হাই হিউম্যান ক্যাপিটাল। লো হিউম্যান ক্যাপিট্যাল সস্তা শ্রমের ওপর নির্ভর করা। আর হাই হিউম্যান ক্যাপিট্যাল আধুনিক উদ্ভাবন, নলেজ ইকোনমি নেভিগেট করা আর দক্ষতা অর্জন করা। সেই জায়গায় কীভাবে যাবেন আপনাকে চিন্তা করতে হবে। 

আমরা জনমিতিক লভ্যাংশের কথা বলছি, আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে জনমিতিক লভ্যাংশ নিতে কোনো সহযোগিতা করছে? এক দশকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে আমাদের অগ্রগতি কতটুকু?

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আমাদের অর্জন অনেক। আমাদের অনেক শিশুকে বিদ্যালয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু শিক্ষার মানে অনেক প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে তাদের কি সঠিক দক্ষতাটা দিতে পারছি? আমরা সার্টিফিকেট দিচ্ছি কিন্তু দক্ষতা দিচ্ছি না। আমরা দেখি, গ্রামের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে মাস্টার্স শেষ করে যখন ঢাকায় আসে তখন সে না পারছে ভালো করে ইংরেজি লিখতে বা বাংলা লিখতে। অথচ সে বিভিন্ন বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছে। আবার বাণিজ্যে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছে, কিন্তু লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) কী তা জানে না। আমরা সার্টিফিকেট দিলেও দক্ষতা দিতে পারছি না। এ দক্ষতা না দিতে পারলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নেভিগেট করতে পারব না। দক্ষতা ছাড়া এটা সম্ভব না। আগামী পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যলয় বা বিদ্যালয় নাও থাকতে পারে। প্রত্যেকটা বাসায় ইনডিপেনডেন্ট এডুকেশন প্রোগ্রাম থাকতে পারে, একটা কেন্দ্রীয় জায়গা থেকে এডুকেশন প্রোগ্রাম হচ্ছে, মানচিত্রের এই লেকচারগুলো আছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শিক্ষক আছে, আমাদের পড়াচ্ছে, আমরা মিথস্ক্রিয়া করছি, আমরা তার থেকে শিখছি। 

আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা আর ২০ বছর পরের শিক্ষা ব্যবস্থা এক জায়গায় থাকবে—এটা চিন্তা করার সুযোগ নেই। ২০ বছর পর অর্থনীতিবিদদের প্রয়োজন নাও থাকতে পারে, তখন হয়তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট অর্থনীতির সব অ্যানালাইসিস করতে পারে। ডাক্তার নাও থাকতে পারে। কোন চাকরি থাকবে আর কোন চাকরি থাকবে না—আমরা কি এ চিন্তাগুলো করে আমার শিক্ষা ব্যবস্থা সাজাচ্ছি। কর্মক্ষেত্রে রূপান্তর পশ্চিমা দুনিয়া কথা বলছে। অর্থাৎ প্রযুক্তি আসার কারণে কোন চাকরিটা থাকবে আর কোন চাকরিটা থাকবে না। কিছুদিন পর টেলিভিশন উপস্থাপিকার প্রয়োজন হবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা তৈরি একজন নারী বা পুরুষ টেলিভিশন উপস্থাপিকা হবে। আমি মূলত বলার চেষ্টা করছি, কোন চাকরিগুলো থাকবে আর কোন চাকরিগুলো থাকবে না—এটা চিন্তা করে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সাজাতে হবে। আজকের ছেলে বা মেয়েকে যে শিক্ষা দেয়া হবে ১০ বছর বা ২০ বছর পর চাকরির বাজারে ঢুকবে তখন সে এটাকে কাজে লাগাবে। আর আজকের দক্ষতা যদি কালকে প্রয়োজন না হয় তাহলে এ ব্যক্তি অর্থনীতে কী ভূমিকা রাখবে?


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫