অভিমত

কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও টিকে থাকা

প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪

শাকেরা তাসনীম ইরা

একটা সময় ছিল যখন নারীরা থাকত গৃহবন্দি। ঘরের চার দেয়ালের মাঝে সারা জীবন কাটিয়ে দেয়া নারীদের সে চিত্র অতীত হয়েছে অনেক আগেই। বাড়ির চৌকাঠ ডিঙিয়ে নারীরা পা রেখেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে। দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে কর্মক্ষেত্রে নারীর পদচারণা। কিন্তু কতটা বৈষম্য, কতটা অসহযোগিতার সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে নারী ঘরে-বাইরে নিজেকে টিকিয়ে রেখেছে তা আড়ালে থেকে গেছে বরাবরই। তাই নারীর আপাত ক্ষমতায়নের কথা বলে একটি বন্ধুর, বৈষম্যমূলক, অসহযোগিতায় পূর্ণ পথে নারীকে ঠেলে দিয়ে রাষ্ট্রের পক্ষে ঠিক কতটা প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব এ নিয়ে ভাবার সময় এখনই। তা না হলে জোড়াতালি দেয়া নারী ক্ষমতায়নের মুখ থুবড়ে পড়তে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন পড়বে না। 

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পটপরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে দেশের নারীরা। এ ৫০ বছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের সফলতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে নারীরা। মোটা দাগে দেখতে গেলে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নারীর সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে নারীদের সর্বাত্মক অবস্থান কখনই কি মসৃণ ছিল—এ প্রশ্ন যদি করা হয়, উত্তরের মুখোমুখি দাঁড়ালে অজান্তেই শঙ্কার ভাঁজ পড়ে কপালে। 

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপে নারী হিস্যা ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশের কথা বলা হয়েছে। ওই জরিপ অনুযায়ী, দেশে শ্রমশক্তির আকার ৬ কোটি ৩৫ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৮ লাখ মজুরির বিনিময়ে কাজ করেন। মোট শ্রমশক্তিতে ৪ কোটি ২২ লাখ পুরুষ আর নারী ১ কোটি ৮৭ লাখ। তবে শ্রমিক পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেলেও প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণের হার সীমিত। প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে আছেন মাত্র ৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী। উপসচিব ও সচিব পর্যায়ে এ হার ১ শতাংশ বা তারও কম। 

শ্রমবাজারে নারীর একটা বড় অংশই নিম্ন মজুরির ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। বাকিরা শিক্ষকতা, চিকিৎসা, ব্যাংকিং, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা পেশায় যুক্ত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীসহ বিভিন্ন উচ্চ পদেও দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। তবে শ্রমবাজারে নারীর একটা বড় অংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত। যেমন কর্মজীবী নারীদের অর্ধেকের বেশি কৃষিকাজে সম্পৃক্ত। আরেকটি বড় অংশ পোশাক শিল্পে কাজ করে। মোট দেশজ উৎপাদনে এ খাতের অবদান ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ। মোট রফতানি আয়ের ৮৩ শতাংশ আসে এ খাত থেকে। পোশাক খাতে কাজ করছেন ৪০ লাখ শ্রমিক। তার ৫৯ দশমিক ১২ শতাংশই নারী।

বাংলাদেশে জিডিপিতে পুরুষ এবং নারীর অবদান প্রায় সমান। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ২০২০ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) নারীর অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। তবে সংসারের ভেতর ও বাইরের কাজের মূল্য ধরা হলে নারীর অবদান বেড়ে দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশ। এর অর্থ হলো, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের অবদান বলা যায় সমান সমান। তবে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য কিন্তু মোটেও সমান নয়।

বৈশ্বিক লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ফোরাম (ডব্লিউইএফ) এক গবেষণায় জানায়, বাংলাদেশে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য প্রায় ২৮ শতাংশ। এছাড়া অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য এখনো ৫৬ শতাংশ। একই সঙ্গে, বিশ্বে লিঙ্গবৈষম্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৯তম। তবে এ অসমতা কিছুটা কমেছে গ্রামীণ অঞ্চলে। 

গত কয়েক বছরে আপাতদৃষ্টিতে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের গড় হার বাড়লেও নীতিনির্ধারক পর্যায়ে নারীর সংখ্যা খুবই সামান্য, এমনকি নেই বললেও চলে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ অনুসারে, শ্রমবাজারে নারী-পুরুষ অসমতা কিছুটা কমলেও এখনো তা ৩৭ শতাংশের বেশি। গ্রামে নারীর শ্রমে অংশগ্রহণ বেড়েছে ২১ শতাংশ। অন্যদিকে শহরে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ কমেছে ৮ শতাংশ। আবার পরিসংখ্যান ব্যুরোর আরেকটি জরিপ জানাচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীর অংশগ্রহণ যেখানে ৫০ দশমিক ৮৮ শতাংশ সেখানে শহরে সেই হার ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

এক্ষেত্রে দুটো বিষয় হতে পারে, শহরে নারীরা বাধ্য হচ্ছেন কর্মক্ষেত্র ছাড়তে কিংবা আগ্রহ হারাচ্ছেন কর্মক্ষেত্রের ওপর থেকে। এর কারণ মূলত কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি হওয়া বৈষম্য, একই সঙ্গে সামাজিক অবকাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তনও ভূমিকা রাখছে। ২০২০ সালে করোনা মহামারীতে চাকরি ছেড়েছেন অনেক নারী। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার ব্যবসা। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নারীদের পথচলা যেহেতু মসৃণ ছিল না কোনো কালেই, নারীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন দিনকে দিন। কর্মক্ষেত্রে সঠিক এবং নারীবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে নারীর সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব নয় কখনই। আর কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে না পারলে সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নও মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই নারীর জন্য সঠিক কর্মপরিবেশ তৈরিতে যেসব বাধা বিদ্যমান রয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে দূর করার প্রয়াস নেয়া উচিত। 

ভারতীয় উপমহাদেশে বরাবরই নারীর প্রতি সংঘটিত হওয়া লিঙ্গবৈষম্যের অন্যতম পুঁজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে নারীর মাতৃত্ব। মাতৃত্বের দোহাই দিয়ে তাদের বাধা দেয়া হয়েছে প্রতিনিয়ত। ধারণা তৈরি করা হয়েছে ‘ভালো মা’ এবং ‘খারাপ মা’-এর । যেখানে পুরুষতান্ত্রিক ধারণায় ভালো মা সন্তান লালন-পালনে ত্যাগ করেছেন সব স্বপ্ন-শখ-অর্জন। সন্তান লালন-পালনে নারীর ত্যাগকে মহিমান্বিত করে তৈরি হয়েছে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন। সেসব বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে একজন নারী নিজে মাছ না খেয়ে সেটি তুলে দিচ্ছেন সন্তানের পাতে। অথচ কেউ দেখায়নি মাছটা চাইলেই মা-সন্তান ভাগ করে খেতে পারতেন! মাতৃত্বের দোহাই দিয়ে নারীকে বাধ্য করা হয়েছে ক্লান্তি-স্বপ্ন-ক্যারিয়ার বিসর্জনে। কেউ কেউ যদিও দেখিয়েছেন নারী বাইরে সামলাচ্ছে, চাকরি করছে, সেখানে শর্তসাপেক্ষে নারীকে ঘরও সামলাতে হয়েছে পরিপাটি করে। অবশ্য বিজ্ঞাপন কিংবা নাটকের গল্প সমাজের চিত্রকেই তুলে ধরে। আবার নাটক কিংবা বিজ্ঞাপনের গল্প প্রভাবিত করে সামাজিক জীবন। তবে নারীকে বশে রাখতে মাতৃত্বকে হাতিয়ার বানানো পুরুষতন্ত্র যে আধুনিক সমাজেও বিদ্যমান এ কথা অস্বীকার করা যাবে না।

আমাদের সমাজে নারীর কর্মক্ষেত্রে অংশ নেয়ার অন্যতম বাধা সমাজের সন্তান লালান-পালন সংক্রান্ত নানা ধারণা ও মানদণ্ডের আতিশয্য। মা চাকরি করলে সন্তান লালন-পালন করবে কে ধারণা থেকে না পুরুষতন্ত্র সরে আসছে আর না এর প্রভাবে নারী নিজে পারছে নিজেকে টেনে বের করে আনতে। নিন্দুকের কথা অগ্রাহ্য করে যেসব মা সন্তানকে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে রেখে চাকরি করছেন তারাও ভুগছেন নানা মানসিক দ্বন্দ্বে। কারণ সার্বিকভাবে ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন সত্ত্বেও দেশে মানসম্পন্ন ডে কেয়ার বা শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্রের সংখ্যা অপ্রতুল। 

দেশে বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া বেসরকারিভাবে কিছু শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। 

কর্মজীবী নারী যাতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিজেদের ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য ১৯৯১ সালে নারীর নিরাপদ ও নিশ্চিন্তে কাজ করার জন্য সরকারিভাবে প্রথমবার ডে কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়। এরপর কেটে গেছে দুই দশকেরও বেশি সময়। এতগুলো বছরেও উন্নত মানের কোনো সরকারি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র নির্মিত হয়নি। যে ক’টি আছে সেগুলোর মান নিয়েও রয়েছে আশঙ্কা। কিছুদিন আগেই ঢাকার আজিমপুরে একটি সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রে ১১ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোয় যে পরিমাণ লোকবল থাকা প্রয়োজন তা নেই। তার ওপর সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন নির্ধারিত থাকায়ও বিপাকে পড়তে হয় মায়েদের, কারণ বেশির ভাগ কর্মক্ষেত্রেই একদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। 

বেসরকারি মালিকানায় বেশকিছু ডে কেয়ার সেন্টার গড়ে উঠলেও সেগুলোর মানও শতভাগ সন্তোষজনক নয়। তার ওপর আবার অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিছু বেসরকারি ডে কেয়ার শিশুদের খাবারের দায়িত্ব নিলেও বেশির ভাগই তা এড়িয়ে যায়। সেই সঙ্গে ঘড়ির কাঁটা ধরে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শিশুদের সেবা দেয়ার সময় নির্ধারিত থাকায় জ্যামের নগরীতে সন্তান সামলাতে হিমশিম খেয়ে যান মায়েরা। 

২০২৩-এর জুলাইয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে জেলা পর্যায়ে ৬০টি ডে কেয়ার সেন্টার নির্মাণের ঘোষণা এলেও সে কাজেরও কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। এ প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছে ১৯৭ কোটি টাকা। এর আগে মহিলা অধিদপ্তরের আওতায় ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প নিয়েও উঠেছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। সেই প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ব্যয় ৫৯ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বাস্তবায়নকাল ছিল মার্চ ২০১৬ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে প্রথমবার মেয়াদ বাড়িয়ে ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত করা হয়। এরপর আনা হয় প্রথম সংশোধন। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং মেয়াদ বেড়ে দাঁড়ায় ফেব্রুয়ারি ২০২৩। এর পরও নির্ধারিত সময় ও ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। ফলে প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন আনা হয়। এতে ব্যয় বেড়ে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা করা হয় এবং মেয়াদ বেড়ে জুন ২০২৫ পর্যন্ত করা হয়।

শুরুতেই বলেছিলাম, নারীকে কর্মক্ষেত্রে আসতে উৎসাহিত করা হচ্ছে, কিন্তু কর্মক্ষেত্রে নারীর টিকে থাকার পথ মসৃণ করা হচ্ছে না। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬/ধারা ৯৪(১.২) অনুসারে, ৪০ জনের বেশি নারী কর্মী রয়েছেন এমন প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ব্যবহারের জন্য একটি উপযুক্ত কক্ষ দিতে হবে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। অথচ এ আইনের প্রণয়ন নেই কোনো প্রতিষ্ঠানেই। 

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের বিকাশ কর্মজীবী মায়েদের জীবন কিছুটা সহজ করতে পারত। কিন্তু সরকারি দিবাযত্ন কেন্দ্রের ওপর অনাস্থা আর ব্যয়বহুল বেসরকারি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র এ দুইয়ের মাঝে পিষ্ট হয়ে দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে অসংখ্য কর্মজীবী নারীর জীবন। তাই শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র নির্মাণ ও বিকাশে ত্বরিত গতিতে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। তা না হলে অসহযোগী মনোভাবসম্পন্ন কর্মক্ষেত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা থাকবে না নারীদের কাছে। 

শাকেরা তাসনীম ইরা: সহসম্পাদক, বণিক বার্তা


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫