২০৫০ সালে ডায়াবেটিস

রোগীর সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১৩০ কোটিতে

প্রকাশ: নভেম্বর ১৩, ২০২৩

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রতি বছরের ১৪ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। ১৯৯১ সালে বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক বেনটিংয়ের জন্মতারিখ অনুযায়ী এ দিনটি নির্ধারণ করা হয়। তিনি বিজ্ঞানী চার্লস বেস্টের সঙ্গে একত্রে ইনসুলিন আবিষ্কার করেন। ১৯২১ সালের ২৭ জুলাই ইনসুলিন আবিষ্কার করা হয়।

৫০ কোটিরও বেশি মানুষ বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এ রোগে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের নারী, পুরুষ ও শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আগামী ৩০ বছরে ১৩০ কোটিতে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিটি দেশেই এ রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। 

সর্বশেষ ও সর্ববৃহৎ এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এ রোগ বিস্তারের হার ৬ দশমিক ১ শতাংশ । বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার প্রধান ১০টি কারণের একটি হলো ডায়াবেটিস। উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে ডায়াবেটিস রোগীর হার ৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং এ সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে এ হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। 

৬৫ বা তার বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস পরিলক্ষিত হয়। ৭৫ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ এ রোগে আক্রান্ত। ডাটা অনুযায়ী, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে এ বয়সীদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ। মধ্য ইউরোপ, পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় এ রোগে আক্রান্তের সর্বনিম্ন হার ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। 

এ রোগীদের মধ্যে ৯৬ শতাংশ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে (টিটুডি) আক্রান্ত।  টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষর জন্য মূল ঝুঁকি স্থূলতা। এছাড়া অন্য ঝুঁকিগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্যতালিকা, পরিবেশ বা পেশাগত ঝুঁকি, তামাক ব্যবহার, কায়িক পরিশ্রম কম করা। 

সূত্র: দ্য ল্যানসেট


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫