পরিবর্তনশীল ঋতু অনেক ক্ষেত্রে ঝামেলাও নিয়ে আসে। বিশেষ করে শীতকালে। এ ঋতুতে অনেক ধরনের ঘাটতি ও রোগ হতে থাকে এবং মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। শারীরিক অসুখ ছাড়াও ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষ মানসিক রোগেও আক্রান্ত হতে পারে। আর এ ঘটনা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। একে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার বা সংক্ষেপে এসএডি বলা হয়। বাংলায় মৌসুমি বিষণ্ণতাও বলা যায়। সাধারণত শীতকালে এসএডি রোগ দেখা দেয়। এ রোগের কারণে মানুষ হতাশ বোধ করতে শুরু করে এবং স্বাভাবিকভাবেই তার হাত ধরে আসতে থাকে বিষণ্ণতা।
লক্ষণ
বেশি ঘুমানো
খাবারের রুচিতে পরিবর্তন
ওজন বেড়ে যাওয়া
ক্লান্তি বেড়ে যাওয়া
কর্মচাঞ্চল্যের ঘাটতি
পছন্দের কোনো বস্তু থেকে আগ্রহ ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলা
চিকিৎসা
এসএডির চিকিৎসার সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হলো লাইটথেরাপি। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে কম থাকলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয়। সামান্য আলোর উপস্থিতি মানসিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই এক্ষেত্রে অনেক সময় লাইটথেরাপি দেয়া হয়। উজ্জ্বল আলোর উৎস শরীরের সারকাডিয়ান রিদম বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে তা ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে ও অনুমোদিত ডিভাইসে ব্যবহার করা উচিত। অনেকে আবার অ্যান্টিডিপ্রেশেন্টস জাতীয় ওষুধও ব্যবহার করে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের অনুশীলন করা। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস এসএডির লক্ষণগুলো কমিয়ে আনে।
সূত্র: হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং