শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আমাদের ত্বক ও চুলের ওপর অনেক প্রভাব পড়ে। এ সময় ত্বক শুষ্ক, খসখসে ও নিষ্প্রভ হয়ে যায়। চুল হয়ে যায় রুক্ষ, নিষ্প্রাণ। মাথার ত্বকে খুশকি জন্মায়। তাই ত্বক ও চুলে নিতে হয় বিশেষ যত্ন।
ত্বকের যত্ন
১. শীতে গরম পানিতে গোসল না করা উচিত। এতে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে ওঠে। কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ে গোসল শেষ করা উচিত এবং গোসলে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষারীয় সাবান ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান নির্বাচনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
২. শীতে ত্বক স্বাভাবিক রাখতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের নিঃসৃত তেল সংরক্ষণে সহায়তা করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে।
৩. টাইট ফিট ও সিনথেটিক পোশাক ত্বককে আরো শুষ্ক ও রুক্ষ করে এবং অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। কাজেই আরামদায়ক ও প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাক পরতে হবে।
৪. ঘরে জলীয় বাষ্পের অনুপাত ঠিক রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে অ্যাকজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগে থাকেন তাদের জন্য হিউমিডিফায়ার বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৫. নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৬. খোলামেলা ও আলোকিত পরিবেশে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
৭. সংবেদনশীল ত্বকের জন্য শরীরে গ্লিসারিন, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন।
চুলের যত্ন
১. এই সময় গরম পানি দিয়ে গোসল করার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানির কারণে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। কারণ গরম পানি চুল থেকে তেল শুষে নেয়।
২. শীতকালে শ্যাম্পু করেই হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকান অনেকেই। সেটিও সমস্যার কারণ হতে পারে। নিয়মিত চুলে তাপ দিলে তা রুক্ষ তো হয়েই যায়, সঙ্গে বাড়তে পারে চুল পড়ার সমস্যা। চুলের ডগা ফেটে যেতে পারে। খুশকির সমস্যাও বাড়তে পারে।
৩. ভেজা চুল ডেকে আনতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। ভেজা চুলের কারণে ঠাণ্ডা লেগে সর্দিকাশিও হতে পারে। দিনের পর দিন এভাবে পানি জমতে থাকলে একটা সময়ের পরে চুল পড়তে শুরু করে।
৪. বাইরের ধুলাবালি আর দূষণের কারণে অনেকেই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করে থাকেন। প্রতিদিন শ্যাম্পু করার ফলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে যায়। যার ফলে চুল হয়ে যায় রুক্ষ ও শুকনো।
৫. যাদের নরমাল চুল তারা সপ্তাহে তিনবার চুল ধুতে পারেন। যাদের রুক্ষ চুল তারা দুদিন পরে একবার করে চুল ধুলে ভালো। আবার যাদের তেলতেলে চুল তারা অবস্থা বুঝে দুদিন বা একদিন পর পরও চুল ধুতে পারেন।