হাইপারটেনশন বা উচ্চরক্তচাপ

উচ্চরক্তচাপে শরীরের যে ক্ষতি হয়

প্রকাশ: অক্টোবর ১৬, ২০২৩

উচ্চরক্তচাপের লক্ষণগুলো পুরোপুরি প্রকাশ পাওয়ার কয়েক বছর আগে থেকেই শরীরের ক্ষতি করতে শুরু করে। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপে অক্ষমতা, নিম্নমানের জীবন, এমনকি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকও হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব

ধমনি

মানবদেহে ধমনির মূল কাজ হৃৎপিণ্ড থেকে পরিশোধিত রক্ত বহন করে দেহের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করা এবং রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করা। অতিরিক্ত রক্তচাপ দেহের ধমনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। উচ্চরক্তচাপ থেকে হতে পারে:

- ক্ষতিগ্রস্ত সরু ধমনি: উচ্চরক্তচাপ ধমনির ভেতরের আস্তরণের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মানুষের দেহের কোনো একটি ধমনি যখন সরু হয়ে যায়, তখন হৃৎপিণ্ডের পেশিতে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পেশিগুলোতে অক্সিজেন আর পুষ্টিকর উপাদানের অভাব ঘটে। এতে হতে পারে হৃদরোগ।

- অ্যানিউরিজম: ধমনির ভেতরের দেয়ালে কোলেস্টেরল জমা হওয়ার কারণে ব্লক সৃষ্টি হয়, যার ফলে ধমনির ভেতর দিয়ে রক্তের স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এতে ধমনির দেয়াল দুর্বল পাতলা হয়ে বেলুনের মতো ফুলে যেতে পারে। ধমনির রকম ফুলে যাওয়া অংশকে চিকিৎসাবিজ্ঞানেঅ্যানিউরিজম বলা হয়।

কিডনির সমস্যা

কিডনি প্রধানত রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ, অতিরিক্ত পানি এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ শোধন করে। এছাড়া রক্তের পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন ব্যালান্স (পিএইচ) বজায় রাখে।

গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস: এটি হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে কিডনির ক্ষুদ্র ফিল্টার, অর্থাৎ গ্লোমেরুলি স্ফীত হয়। গ্লোমেরুলি রক্তপ্রবাহ থেকে অতিরিক্ত তরল এবং বর্জ্য অপসারণ করতে সাহায্য করে। গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিসের কারণে গুরুতর বা দীর্ঘায়িত প্রদাহ হলে আপনার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

কিডনির অকার্যকারিতা: শরীরের মধ্যে কিডনির প্রধান কাজ পরিশোধন করা। কোনো রোগের কারণে উভয় কিডনি তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে অক্ষম হয়।

হৃদরোগ

উচ্চরক্তচাপ হৃৎপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যাতে হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোক হতে পারে।

মস্তিষ্কের ক্ষতি

উচ্চরক্তচাপ মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, এতে স্ট্রোক, ভার্টিগো অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।

দৃষ্টিশক্তি হ্রাস

উচ্চরক্তচাপ চোখের ক্ষতি করতে পারে, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা অন্ধত্ব সৃষ্টি করতে পারে।

অন্যান্য সমস্যা: উচ্চরক্তচাপের ফলে রক্তনালি ফেটে যাওয়া, পায়ে রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়া, কোনো বিষয় বুঝতে সময় লাগে বা ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম হতে পারে।

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫