নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

প্রকাশ: অক্টোবর ০২, ২০২৩

ফিচার প্রতিবেদক

কার্যকর নেতৃত্ব ছাড়া ব্যক্তি, দল, সমাজ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা যায় না। লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হলে এটি তাদের সক্ষমতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। সব কর্মক্ষেত্রে মানসম্পন্ন নেতৃত্বের প্রয়োজন। দক্ষ নেতৃত্বসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই শুরু করতে হয় নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ। আবার শুরুটা পরিবার থেকেও হতে পারে। গ্লোবাল লিডারশিপ ফোরকাস্টে দেখা গেছে, মার্কিন কোম্পানিগুলো কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার জন্য প্রায় ১৬০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। প্রায় ৭৭ শতাংশ কোম্পানি অভিযোগ করেছে তারা কোম্পানিতে নেতৃত্বের অভাব অনুভব করছে। বিশ্বের রোল মডেল উন্নত দেশের কর্মক্ষেত্রের এ চিত্রই বলে দেয় নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ কতটা জরুরি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শরিয়ত উল্লাহ বলেন, ‘‌প্রতিষ্ঠানে যারা কোনো দল পরিচালনা করে তার দলীয় সদস্যদের যথাযথভাবে বোঝা, কাজে অনুপ্রাণিত করা, ব্যক্তিত্ব, লেভেল অব মোটিভেশন—এসব বিবেচনা করেই একজন ব্যক্তিকে তার দল পরিচালনা করতে হয়। দলগত নেতৃত্বের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি যত ওপরে উঠবেন বা দায়িত্ব পাবেন ততই তার দলগত ও কৌশলগত নেতৃত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে। এন্ট্রি লেভেলে যখন একজন কর্মী কাজ শুরু করেন তখন তিনি শুধু মৌলিক কাজগুলোই করেন। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন অধিকতর দায়িত্ব পান তাকে কতগুলো প্রতিকূল পরিবেশ থেকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। এটি হলো তার স্ট্র্যাটেজিক স্কিল। আর এটি যখন বাস্তবায়ন করবে তখন তাকে তার কর্মী বাহিনীর মধ্যেই বাস্তাবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে নেতৃত্বের কৌশল। কারণ একেকজন কর্মী একেক যোগ্যতাসম্পন্ন, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও মানসিকতাসম্পন্ন। তাদের মধ্যে এ বৈচিত্র্যের বিষয় বিবেচনায় এনে সুদক্ষভাবে একটি দল পরিচালনার জন্য নেত্বত্বের গুণাবলি অপরিহার্য। দায়িত্ব পেলেই সবাই সফলভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারে না। আবার অনেকে নানা কৌশল তৈরি করলেও তার বাস্তবায়ন করতে পারে না। কৌশল নির্বাচন ও কর্মী বাহিনীর মাধ্যমে তার বাস্তবায়ন—একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত। এই দুই ক্ষেত্রে যে দক্ষতার প্রয়োজন সেটি অর্জন করা যায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।’

এ অধ্যাপক আরো বলেন, ‘‌লিডারশিপে তিনটি বিষয় যুক্ত—লিডিং সেলফ, লিডিং গ্রুপ ও লিডিং এন অর্গানাইজেশন। প্রথমে নিজেকেই নিজের নেতৃত্ব দিতে হবে, দ্বিতীয়ত নিজের টিম বা দল এবং সবশেষে সংগঠন। তবে এসব দক্ষতা অর্জনে শিক্ষাজীবনেই যুক্ত হতে হয় নানা কর্মকাণ্ডে। গ্রুপ ওয়ার্ক, থিম ওয়ার্ক, কম্পিটিশন, সহপাঠ কার্যক্রম এবং অন ক্যাম্পাসে খণ্ডকালীন চাকরি। ক্যাম্পাসভিত্তিক নানা কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীরা যত বেশি যুক্ত হবে তাদের নেত্বত্বের দক্ষতা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।’


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫