শিক্ষাসফর

শিক্ষাসফরের পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা অভিযান

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩

ফিচার প্রতিবেদক

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একটি সম্পদ। প্রতি বছর এ দ্বীপে বহু মানুষ ভ্রমণে যায়। সব মানুষ পরিবেশসচেতন নয়। তাই দ্বীপে আবর্জনা ফেলার একটা প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু দ্বীপ রক্ষা ও পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদের মধ্যে নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দারুণ কাজ করে দেখিয়েছেন। শিক্ষা সফরে সেন্ট মার্টিন গিয়ে তারা সেখানে চালিয়েছেন পরিচ্ছন্নতা অভিযান।

নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের কম্পিউটার ক্লাবের শিক্ষার্থীরা সেন্ট মার্টিন গিয়েছিলেন শিক্ষা সফরে। সেখানেই পাঁচজন নির্দেশকের অধীনে তারা এ কাজ করেন। মূলত এর লক্ষ্য ছিল পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি করা। বিশেষত বহুদিন ধরে সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ডে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা থেকে এ দ্বীপকে কিছুটা হলেও মুক্ত করা। 

‘‌থিংক ক্লিন, সেভ দ্য সেন্ট মার্টিন’ লেখা ব্যানার নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন। দ্বীপের উপকূলে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ইত্যাদি তারা তুলে নিয়ে নিজেদের কাছে থাকা বিনে সংগ্রহ করেন। তাদের দলবদ্ধ এ কর্মযজ্ঞ স্বাভাবিকভাবেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেখানে ছুটি কাটাতে আসা ভ্রমণকারীদের।

শিক্ষার্থীদের এ কাজে একটি রোবটও ব্যবহার করা হয়েছে। এর নাম ‘‌ট্র্যাশ ক্লিনিং বট’। নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীই রোবটটি তৈরি করেছেন। রোবটটি তার ভেতরে প্রোগ্রাম করা ক্যামেরার মাধ্যমে আবর্জনা শনাক্ত করতে পারবে। পাশাপাশি আবর্জনা তুলে তা ডাস্টবিনে ফেলার কাজটিও করতে পারবে এ রোবট।

শিক্ষা সফরে শিক্ষার্থীদের এ কাজ সম্পর্কে নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান রায়হান-উল-মনসুর বলেন, ‘‌ভ্রমণের সময় পরিবেশ, প্রকৃতির দূষণ রোধে মনোযোগী হওয়া আমাদের দায়িত্ব।’


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫