স্পেনের টেনেরিফ দ্বীপের দাবানলে ১২ হাজারেরও
বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি
সত্ত্বেও গতকাল রোববার (২০ আগস্ট) আগুন আরো ছড়িয়েছে। খবর আনাদোলু।
এর আগে শনিবার কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছিল,
বাতাস আরো জোরালো ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। তবে গতকাল স্বায়ত্তশাসিত
ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো ক্লাভিজো জানান, পরিস্থিতি প্রত্যাশার
চেয়ে ভালো রয়েছে।
তিনি বলেন, সত্যি যে রাত খুব কঠিনভাবে
শুরু হয়েছিল। বাড়ির কাছাকাছি আগুন লাগার বিষয়ে আমরা প্রচুর কল পাচ্ছিলাম। তবে আমাদের
ব্যবহৃত কৌশল কাজে লেগেছে। আমরা বাড়ির চারপাশে প্রতিরক্ষামূলক বেড়া স্থাপন করেছি ও
অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ করছে। তারপর রাত প্রায়
২টার দিকে বাতাস পড়ে যায়। এটি প্রায় একটি অলৌকিক ঘটনা যে কোনো বাড়ি পোড়েনি।
গত ১৫ আগস্ট শুরু হওয়া দাবানলে প্রায়
১০ হাজার হেক্টর এলাকা পুড়ে গেছে। ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের জন্য এট সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড।
এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টেনেরিফ দ্বীপ।
শুরুতে একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছিলেন,
২৬ হাজারের বেশি মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু পরে সংশোধন
করে জানান, সংখ্যাটি হবে ১২ হাজার।
বাতাসের গতি নেমে পড়া ও ফায়ার সার্ভিসের
চেষ্টায় দক্ষিণে দাবানল স্থিতিশীল রয়েছে। তারপরও বাসিন্দাদের ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার
জন্য আরো অপেক্ষা করতে চায় বলে যায় কর্তৃপক্ষ।