ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রথম সারির ক্লাবগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এবং সক্রিয় ক্লাব ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফিল্ম ক্লাব। প্রতিষ্ঠা ২০০৪ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছরই ক্লাবটি নিয়মিত বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করে আসছে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত রাখা, শর্টফিল্ম তৈরি করা, বিভিন্ন তারকাদের নিয়ে আলাপচারিতা-কথোপকথন,”মিট দ্য মায়েস্ট্রোস, শর্টফিল্ম প্রতিযোগিতা-মিরর, ট্রাইপড, স্ক্রিপ্ট রাইটিং প্রতিযোগিতা-রাইট টু ক্রিয়েট, ক্লাবে নতুনদের জন্য”ইন্ট্রোভিউ,”দ্য সার্কেল—ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফিল্ম ক্লাবের ব্যতিক্রমী আয়োজনগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ক্লাবটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান নিয়ে সফলতার সঙ্গে আয়োজন করছে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন প্রোগাম। আরেকটি নিয়মিত প্রোগাম হলো কথোপকথন। আসাদুজ্জামান নূর, আফরান নিশো, তমা মির্জার মতো চলচ্চিত্র অঙ্গনের তারকারা এসে অংশ নেন এতে। চলচ্চিত্রপ্রেমী শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তারা। এসব আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের করেন সমৃদ্ধ।
সর্বশেষ আয়োজিত শর্টফিল্ম প্রতিযোগিতা “ট্রাইপড ৩.০ এ তুমুল লড়াইয়ের পর পুরস্কৃত হয় তিনটি শর্টফিল্ম। রিফাহ তাসনিয়ার”রাজকন্যা, রূপস থানের লার্ক এবং তানিসা তাসনিমের”মিরর। এছাড়া সর্বশেষ আয়োজিত স্ক্রিপ্ট রাইটিং প্রতিযোগিতা ৪-এ বিজয়ী হয়ে প্রথম পুরস্কার জিতে নেন তাহসিনা তাজরীম ঐশী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পান যথাক্রমে ইফফাত নাজমিন মিম ও আহনাফ নিবরাস। জমকালো ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে বিজয়ীদের হাতে বিচারক হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক অমিতাভ রেজা ও গিয়াস উদ্দিন সেলিম। স্ক্রিপ্ট রাইটিং প্রতিযোগিতার বিজয়ী তাহসিনা তাজরীম ঐশী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার লেখালেখির প্রতি ঝোঁক ছিল। কম-বেশি স্ক্রিপ্ট লিখতাম, কিছু পুরস্কারও পেয়েছিলাম। তাই এই প্রতিযোগিতাটি আমাকে আকর্ষণ করে। আমার স্ক্রিপ্টটি ছিল পুরোটাই কল্পনার ওপর লেখা, যার সঙ্গে বাস্তব চরিত্রের কোনো মিল নেই। আমার লেখা যে বিচারকরা পছন্দ করেছেন এটিই আমার সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।’ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি ইমরান সর্দার নিবিড় বলেন, ‘আমাদের সর্বদাই লক্ষ্য থাকে চলচ্চিত্র উৎসাহী শিক্ষার্থীদের মাঝে চলচ্চিত্রের একটা শিক্ষা প্রসার করা, যা তাদের চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রাণিত করবে। প্রতি বছর আমরা আমাদের নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জুনিয়রদের চলচ্চিত্রের নানা বিষয় শেখানোর চেষ্টা করি। চলচ্চিত্রপ্রেমীদের অংশগ্রহণ ও উৎসাহ দেখে আমি অভিভূত। প্রতি বছরই শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। আশা করি, একদিন আমরা দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের পা রাখব এবং বিশ্বকে জানাব যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ফিল্ম সেক্টরে অনন্য। আমরা বর্তমান চলচ্চিত্র শিল্পকে ভবিষ্যতে আরো উন্নত এবং স্মার্ট ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সৃজনশীলতা নিয়ে আসবে। এটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি।’