ক্রিয়েটিনিন টেস্ট

কেন করাবেন পরীক্ষা

প্রকাশ: জুলাই ৩১, ২০২৩

বণিক বার্তা ডেস্ক

শুধু কিডনির সমস্যা নির্ধারণই না। আরো বেশকিছু কারণে এ পরীক্ষা করানো হয়। ডাক্তাররা প্রয়োজন বোধ করলে রোগীকে এ পরীক্ষা করতে বলতে পারেন। তাতে করে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা সহজ হয়। 

কিডনির কার্যকারিতা যাচাই: রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা পরিমাপ করে বোঝা যায় কিডনি কত ভালোভাবে ফিল্টার করছে এবং শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিচ্ছে। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের উচ্চমাত্রা কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে ফেলতে পারে। তাই কিডনির কার্যকারিতা যাচাই করতে এ পরীক্ষা করানো হয়।

কিডনি রোগ নির্ণয়: সাধারণত কিডনি রোগ যেমন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ এবং তীব্র কিডনি আঘাত নির্ণয় করতে ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করা হয়। এটি ডাক্তারকে কিডনি রোগের অবস্থা নির্ধারণ করতে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগীর পরিস্থিতি জানতে সহায়তা করে। ধারাবাহিক ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করে ডাক্তার কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস বা উন্নতির হার বুঝতে পারেন। 

স্বাস্থ্যের পর্যবেক্ষণ: কিডনির কার্যকারিতা দিয়ে ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্য খুব ভালোমতো বোঝা যায়। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ বা কিডনি সমস্যার পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ব্যক্তি কিডনি রোগের উচ্চঝুঁকিতে থাকেন। সেক্ষেত্রে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবেই ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করা উচিত। এটি রোগীর কিডনির কার্যকারিতা বা রোগের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

ওষুধ ব্যবস্থাপনা: কিছু ওষুধ রয়েছে যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, কিডনির ওপর খারাপ প্রভাব আনতে পারে। এর কারণে কিডনির কার্যকারিতাও প্রভাবিত হতে পারে। তাই সেসব বিবেচনা করে ডোজ কমানো-বাড়ানো প্রয়োজন হতে পারে। ক্রিয়েটিনিন টেস্ট থেকে ডাক্তার এ বিষয়ে ধারণা পেতে পারেন।

অস্ত্রোপচারপূর্ব বিশ্লেষণ: অস্ত্রোপচার বা অপারেশন করার আগে কিডনি ঠিকঠাকভাবে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্যও একটি ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করানো হতে পারে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫