ক্যাম্পাস ভবনের স্থাপত্যশৈলী

চবির ফিশারিজ অনুষদে ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে সোলার থেকে

প্রকাশ: জুন ২৬, ২০২৩

ইমাম ইমু

দেশের সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহারে প্রয়োজনীয় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পাশাপাশি নানামুখী সমুদ্র গবেষণার মাধ্যমে দেশের প্রাচীনতম ইনস্টিটিউট বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা ও সুনীল অর্থনীতি প্রসারে অনন্য অবদান রেখে চলেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউট। সমুদ্রবিজ্ঞান চর্চায় ৫০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে দেশের সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নে পূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস, সমুদ্র গবেষণায় অধিকতর সক্ষমতা অর্জনের জন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে প্রায় ৭২ কোটি টাকা অনুদান লাভ করে। উন্নীত হয় ইনস্টিটিউট থেকে অনুষদে। 

ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস ১৯৭১ সালে বায়োলজি বিভাগ নামে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৩ সালে ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস। ২০০৬ সালে ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ এবং সর্বশেষ ২০১৭ সাল থেকে ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস নামে স্বতন্ত্র শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রাচীনতম এ ইনস্টিটিউট বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা ও সুনীল অর্থনীতি প্রসারে অনন্য অবদান রেখে চলেছে। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার সম্পদকে কাজে লাগিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই হিসেবে দেশের প্রথমবারের মতো সমুদ্র অর্থনীতি গবেষণার দ্বার খুলেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।৷ একাডেমিক ক্ষেত্রে দেশের প্রথম অত্যাধুনিক সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্র হিসেবেও এটি সুনাম অর্জন করেছে। 

প্রতিষ্ঠিত পাঁচতলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবনটিতে অত্যাধুনিক একটি ইনস্টিটিউট ও দুটি ডিপার্টমেন্টের জন্য রয়েছে মোট ৫৬টি সমৃদ্ধ কক্ষ। পাঁচতলাবিশিষ্ট টিচার্স ব্লকে রয়েছে ৩৫টি কক্ষ। আরো রয়েছে মেরিন অ্যাকুয়ারিয়াম ভবন। গবেষণার সুবিধার্থে সামুদ্রিক নানা গোত্রের প্রাণী থাকবে এ অ্যাকুয়ারিয়ামে। অ্যাকুয়ারিয়ামের পাশাপাশি একটি হ্যাচারিও রয়েছে এ অনুষদে।

প্রতিটি ইনস্টিটিউট ও ডিপার্টমেন্টের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাব। একটি কমন স্পেসের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আলাদা ক্যান্টিন। প্রার্থনার জন্য প্রেয়ার রুম। রয়েছে একটি লেক, যেখানে শিক্ষার্থীরা সাঁতার কাটতে পারবেন। অত্যাধুনিক এ অনুষদের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হলো সোলার সিস্টেম। নির্দিষ্ট ভবনের ছাদে সোলার প্যানেলগুলো বসানো থাকবে, যা থেকে অনুষদের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎই পাওয়া যাবে। বাকি ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ বিশ্ববিদ্যালয় সরবরাহ করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম জানান, দেশের প্রাচীনতম মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা ও সুনীল অর্থনীতি প্রসারে অনন্য অবদান রেখে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত, বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সমুদ্র অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমির প্রতি আলাদা নজর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫