অস্ট্রেলিয়ান এয়ারলাইন সংস্থা কোয়ান্টাস
কর্মীদের জন্য লিঙ্গ-ভিত্তিক নিয়ম শিথিল করেছে। নতুন পোশাক নীতি অনুসারে, পুরুষ কর্মীরা
মেকআপ ও লম্বা চুল রাখতে পারবেন। খবর বিবিসি।
এর অর্থ হলো নারী কর্মীদেরও দায়িত্ব পালনকালে
মেকআপের বাধ্যবাধকতা থাকবে না। হিলও পরতে হবে না।
গত বছর কোয়ান্টাসকে চলমান
পোশাক
নীতি বাদ দেয়ার আহ্বান জানায় অস্ট্রেলিয়ার ট্রেড ইউনিয়ন। তাদের মতে, একবিংশ শতকের
সঙ্গে এ ধরনের নিয়ম মানানসই নয়।
এর আগে ভার্জিন আটলান্টিক লিঙ্গ-নিরপেক্ষ
ইউনিফর্ম নীতি গ্রহণ করে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারলাইনগুলোর জন্য নীতি শিথিল সহজ হয়।
এখন ফ্ল্যাট জুতা পরার পাশাপাশি নারী ও
পুরুষ উভয় কর্মীই বড় ঘড়িসহ একই ধরনের গহনা পরবেন।
নতুন নিয়মের আরেক অর্থ হলো, পাইলট ও ফ্লাইট
অ্যাটেনডেন্টসহ সমস্ত কর্মী চুল লম্বা রাখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পনিটেইল বা বেধে রাখতে
হবে।
আজ শুক্রবার (৯ জুন) এক বিবৃতিতে কোয়ান্টাস
কর্তৃপক্ষ বলেছে, আমরা বৈচিত্র্যের জন্য গর্বিত। সেই সঙ্গে আমাদের নীতিগুলো হালনাগাদ
করছি।
নতুন নিয়ম কোয়ান্টাসের বাজেট এয়ারলাইন
জেটস্টারের কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এই পদক্ষেপকে কর্মীদের জন্য বড় জয় বলে
উল্লেখ করেছে অস্ট্রেলিয়ান সার্ভিসেস ইউনিয়ন (এএসইউ)। বলা হচ্ছে, পোশাক নীতি হাস্যকর
ছিল। যেমন মেকআপ স্টাইল গাইড ও পুরুষদের তুলনায় নারীদের ছোট ঘড়ি পরার নিয়ম।
তবে নতুন নীতির অধীনে কোয়ান্টাস কর্মীদের
আগের মতোই ট্যাটু ঢেকে রাখতে হবে। কোন পোশাকের সঙ্গে কী পরা যাবে এ বিষয়েও কিছু নিয়ম
রয়েছে।
২০১৯ সালে এয়ার নিউজিল্যান্ড ‘কর্মচারীদের তাদের
ব্যক্তিত্ব ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রকাশ করার’ অনুমতি দেয়।
এর ফলে ট্যাটু ঢেকে রাখার নীতির অবসান ঘটে।