বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নতুন এসেছেন। আজকে তিনি আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু। এখানে জাপানের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশে জাপানের প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে। তারা আমাদের অবকাঠামো খাতে অনেক বিনিয়োগ করেছে। একদলীয় শাসনের পর বিএনপি যে বাংলাদেশে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেছে, তারপর থেকে জাপানের বিনিয়োগ দেশে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তারা দেখতে চাইবে সরকার পরিবর্তন হলেও তাদের বিনিয়োগ যেন অব্যাহত থাকে। এছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অন্যদের মতো তারাও অবগত আছে। বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে তারা তা বোঝার চেষ্টা করছেন।’
জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বিএনপির পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘তা বলা যাবে না। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, আইনের শাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়গুলোসহ সবকিছু নিয়ে তারা অবগত আছেন। তারা জানতে চাইছেন আগামীতে কী হতে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচন ও বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে এটা এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আগামী নির্বাচনটা কেমন হবে এগুলো সবাই জানতে চেষ্টা করছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি কোথায় যাবেন কিংবা যাবেন না, এটা তার সিদ্ধান্ত। কিন্তু দেশের ১৭ কোটি মানুষ কোথায় যাবে সে সিদ্ধান্ত তো তিনি নিতে পারেন না।’