বাহুবলী নির্মাণে ৪০০ কোটি রুপি ঋণ নেয়া হয়েছিল ২৪ শতাংশ সুদে

প্রকাশ: জুন ০৪, ২০২৩

ফিচার ডেস্ক

বাহুবলীর মতো একটি সিনেমা নির্মাণে খরচ হয় প্রচুর। ভারতের ভিএফএক্সনির্ভর সিনেমার ইতিহাসে বাহুবলী একটি বড় অবদান রেখেছিল। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমা ভারতের সিনেমাকেই বদলে দিয়েছিল। কিন্তু সিনেমাটির পেছনে রয়েছে অজানা অনেক গল্প। সম্প্রতি সে রকম একটি গল্প জানা গেল। সিনেমার অভিনেতা রানা দাগুবতি জানিয়েছেন, এ সিনেমার জন্য ব্যাংক থেকে ৪০০ কোটি রুপি ঋণ নিতে হয়েছিল। এ ঋণের জন্য ব্যাংককে সুদ দিতে হয়েছে শতকরা ২৪ শতাংশ হারে। 

তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে সে সময় স্টুডিও মডেল অনুসরণ করা হতো না। এ কারণে সিনেমা নির্মাণে ব্যাংক থেকে প্রচুর ঋণ করতে হয়েছিল। এ নিয়ে রানা বলেন, ‘‌তিন চার বছর আগে সিনেমা করার জন্য টাকা কোথা থেকে আসত? নির্মাতাদের ঘরবাড়ি বন্ধক রেখে রুপি ঋণ করা হতো। চড়া সুদ দিতে হতো। আমাদের ২৪-২৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হতো। সিনেমার জন্য ঋণ নেয়ার এই ছিল একমাত্র উপায়। বাহুবলীর জন্য আমাদের ৩০০-৪০০ কোটি রুপি ঋণ করতে হয়েছিল।’

ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রানা আরো জানান, প্রথম পর্ব নির্মাণের সময় প্রায় ১৮০ কোটি রুপি ঋণ করতে হয়েছিল। সাড়ে পাঁচ বছর মেয়াদি এ ঋণের সুদ ছিল ২৪ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘‌প্রথম পর্বের বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। তেলেগু সিনেমার ইতিহাসে বাহুবলী অনেক ব্যবসা করেছিল, কিন্তু তা নির্মাণের জন্য আমাদের বিনিয়োগ ছিল সাধারণ যেকোনো সিনেমার দ্বিগুণ।’ এ অর্থ উঠে আসবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ ছিল নির্মাতাদের। সে কারণে তারা পরবর্তী পর্বের শুটিংও এগিয়ে রেখেছিলেন। রানা বলেন, ‘‌জানতাম না পরে কী হবে। তাই দ্বিতীয় পর্বেরও কিছুটা শুট করা হয়েছিল।’

বাহুবলীর বিনিয়োগ, ব্যবসার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয় নিয়েও কথা বলেন রানা। নেপোটিজম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বিনোদন জগতে সত্যিকারের প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। সে কারণে এ রকম নানা সমস্যা তৈরি হয়। সিনেমা জগতে পারিবারিক যোগাযোগ কিছুটা হলেও সুবিধা তৈরি করে দেয়, এ কথা স্বীকার করেছেন রানা। তিনি বলেন, ‘‌ভালো অভিনেতা না হলেও ভালো এজেন্ট প্রায় সবাই। কারণ এখানে একজন আরেকজনকে চেনে। পৃথিবীর যেকোনো ইন্ডাস্ট্রিতেই যোগাযোগ একটা বড় ভূমিকা রাখে।’

সূত্র ও ছবি: দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫