সারা বিশ্বই এখন মূল্যস্ফীতিতে ভুগছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ে আমরাও শঙ্কিত বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যখন আমরা প্রথম গ্রহণ করি, সে সময় প্রথম বছর আমাদের রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ছিল ৬৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেটি এখন ২ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকায় এসেছে। ফলে অর্জন কম নয়। আমি মনে করি আমাদের যেসব লক্ষ্যমাত্রা আছে সেগুলো আমরা অর্জন করতে পারব। এ পর্যন্ত আমি বাজেটে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেগুলো অর্জন করেছি। আমরা ২ কোটি ৪৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি। এটি একটি মৌলিক এলাকা। আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি।’
বাজেট ও আইএমএফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পৃথিবীতে সবাই সবার সঙ্গে সম্পৃক্ত। একে অন্যের সঙ্গে অ্যালাইনড। কেউ আলাদাভাবে বসবাস করার কোনো সুযোগ নেই। আপনি যদি আমদানি করেন তাহলেও কাউকে লাগবে, রফতানি করলেও কাউকে না কাউকে লাগবে। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। অন্য দেশ থেকে বলে দেয়া হচ্ছে কোন দেশ থেকে সেই জিনিসটি পাওয়া যাবে এবং আমরা সেটা পেতে পারি। সেখানে আমাদের সাবলীলভাবে যে সাধ বা সাধ্য, এগুলো একসঙ্গে এখন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। মাঝেমধ্যে এ ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হলে সেটাও ফ্লেক্সিবল ওয়েতে আমরা একটা সমাধান খুঁজে বের করি। আইএমএফ আমাদের কখনো কখনো এসে দেখে। শুধু আমরা না, আইএমএফের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত, সবাইকেই দেখে। ব্যালান্স শিট ঠিক আছে কিনা, রেভিনিউ অ্যাকাউন্ট ঠিক আছে কিনা, ইনকাম-এক্সপেন্ডিচার ঠিক আছে কিনা এগুলো দেখে। এ দেখাটা ভালো। আইএমএফের সঙ্গে যারা কাজ করে, আমি মনে করি, এটা একটা ভালো দিক।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভালো দিক এজন্য বলব যে তারা শুধু ঋণ দিয়েই সাহায্য করে তা নয়। পাশাপাশি কিছু প্রজেক্টও সাজেস্ট করে। প্রজেক্টগুলো কীভাবে এফিশিয়েন্টলি এবং কম সময়ে ডেলিভার করা যাবে, এগুলো তারা পরামর্শ দেয়। এগুলো থেকে আমি মনে করি, আমাদেরও শেখার অনেক কিছু রয়েছে।
আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা আমাদের বাজেট করিনি। তাদের যেসব প্রেসক্রিপশন থাকে সেগুলোর মধ্যে যেগুলো আমাদের জন্য সুবিধাজনক, সেগুলো আমরা গ্রহণ করি। আইএমএফের কাছ থেকে যে পরিমাণ ঋণ নেয়া হয়েছে তা আমাদের দেড় মাসের রেমিট্যান্সের সমান।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ধনী-গরিব সবার জন্যই বাজেট দেয়া হয়েছে। আপনারাই আমাদের বলতেন যে বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের মানুষেরা ট্যাক্স দেয় না। তারা যদি ট্যাক্স দিত তাহলে অন্যরা যারা দেয় তাদের ভাগে কম পড়ত। আমি মনে করি, সময় আসছে আস্তে আস্তে সবাইকে ট্যাক্স দিতে হবে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ তারাও শর্ত দিয়ে রাখছে যারা আয় করে এবং সক্ষমতা আছে, তাদের সবাইকে ট্যাক্স দিতে হবে। আমরা কোনো অন্যায় হতে দেব না। যদি কোনো দাবি থেকে থাকে, তাহলে এখানে এনবিআরের চেয়ারম্যান আছেন সেটি পর্যালোচনা করবেন। করপোরেট করের পরিমাণ আমরা ক্রমাগতভাবে ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নিয়ে এসেছি। এটি সামনে আরো কমানো হবে।’
মূল্যস্ফীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যখন আমরা ক্ষমতায় আসি, তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ শতাংশ। এরপর সেটি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। করোনা অতিমারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করায় সামনে সেটি ৬ শতাংশে রাখা সম্ভব হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ে আমরাও শঙ্কিত। সারা বিশ্বই এখন মূল্যস্ফীতিতে ভুগছে। আমরা তো খাবার বন্ধ করতে পারব না। মানুষকে খাবার না দিয়ে রাখা যাবে না। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। এটি নিয়ন্ত্রণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচুর খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।’
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আগে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি খরচ হতো সেচ, বীজ ও সারে। আর এখন বেশি খরচ হচ্ছে শ্রমিকের মজুরিতে। কৃষি শ্রমিকরা কাজের পাশাপাশি অবসর সময়ও কাটাতে পারছেন। সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। পুরুষের পাশাপাশি কৃষি খাতে নারীদেরও অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০০৮ সালের আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মানুষ অভুক্ত থাকত। একটা সময় প্রতি বছরই নভেম্বরে ১৩-১৪ জন মানুষ ক্ষুধায় মারা যেত। তবে গত ১৪ বছরে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে বাজেট দেয়। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ থেকে সব বাজেটই গরিববান্ধব। ৫০ লাখ পরিবারকে আগে আমরা ১০ টাকায়, এখন ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছি। এবার পরিস্থিতির কারণে সেটি বাড়িয়ে এক কোটি পরিবার করা হয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য দেয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যদি খাদ্য উৎপাদন কমে যায় কিংবা কোনো সংকট হয় সে ক্ষেত্রেও বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে কিংবা অন্য খাতের বরাদ্দ কমিয়ে খাদ্যসহায়তা দেয়া হবে, যাতে কোনো মানুষ মারা না যায়। এ প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। সামনের দিনগুলোতেও আমাদের এ প্রতিশ্রুতি অব্যাহত থাকবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘টিআইএন কাদের জন্য বাধ্যতামূলক সেটি যদি দেখেন, তাহলে দেখবেন আমদানি-রফতানির লাইসেন্সধারীদের, ট্রেড লাইসেন্সধারীদের, কমিশন এজেন্টদের জন্য, অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য, সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি-গাড়ি রয়েছে যাদের তাদের জন্য। এ তালিকায় যারা রয়েছেন তাদের পক্ষে বছরে ২ হাজার টাকা আয়কর দেয়া সমস্যা হওয়ার কথা না। বরং গর্ব করার কথা। গরিব মানুষের টিআইএন দরকার নেই। করপোরেট ট্যাক্স প্রতি বছরই কমাতে হবে এ ধরনের মানসিকতা রাখা ঠিক না। গত তিন অর্থবছর করপোরেট ট্যাক্স ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ শতাংশে নিয়ে এসেছি। প্রতি বছরই যদি করপোরেট ট্যাক্স কমাতে হয়, তাহলে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ সংকুচিত হয়ে যাবে, সেটিও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও কম, আমাদের কর আহরণ বাড়াতে হবে। আমরা উন্নত দেশের কাতারে শামিল হতে চাই কিন্তু কর দিতে চাইব না—এ মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সেজন্য কিছু ক্ষেত্রে কর দেয়ার চেষ্টা কিংবা রাজস্ব আহরণের স্বার্থে কর যদি আমরা কমাতে না পারি, সেটিকে মেনে নেয়ার মানসিকতা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মধ্যে বেশকিছু সমস্যা ছিল। বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে গত এক বছরে তিন-চারটি নীতিগত সমস্যা আমরা সমাধান করে দিয়েছি। নীতিগত সহায়তা বর্তমানে যথেষ্ট রয়েছে। পুঁজিবাজারের দুটি অংশ ইকুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট। বন্ড মার্কেটকে কীভাবে উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে বিএসইসি কাজ করছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যেসব সহায়তা দেয়া দরকার তা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ মাসের ১৮ তারিখে মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে। সেখানে মূল্যস্ফীতির ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, ফাংশনাল লেভেলে মানে মাইক্রো ডিটেইলস, বিনিময় হার কীভাবে স্থিতিশীল করা হবে এবং রিজার্ভ কীভাবে বাড়বে সে বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে। বাজেটে মূল্যস্ফীতির বিষয়ে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে সাপ্লাই সাইড কীভাবে বাড়ানো যায়, এডিপি কমানো হয়নি বরং বাড়ানো হয়েছে। রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে সুদ ও ভর্তুকিতে আমাদের অনেক টাকা চলে গেছে। তাতে কিন্তু মূল্যস্ফীতিতে খুব একটা সমস্যা হবে না। বিনিময় হারের বিষয়ে মুদ্রানীতিতে চাহিদা কমানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। আমাদের চলতি হিসাব কিন্তু বর্তমানে একটা ব্যালান্স হয়ে আসছে। কিন্তু ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট যেটা গত বছর সব সময় ব্যালান্স ছিল। কিন্তু এ বছর এটি প্রথমবারের মতো নেগেটিভ হয়েছে। আমাদের মূল কাজ এখন এটিকে পজিটিভ করা। এজন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট পজিটিভ হয়ে গেলে আমাদের রিজার্ভও বাড়তে থাকবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটি বাড়বে বলে আশা করি।’
ব্যাংক খাতের সুশাসন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনী কেবিনেটে অনুমোদন করা হয়েছে। শিগগিরই এটি সংসদে উপস্থাপন করা হবে। এ আইনে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে, যার ফলে ব্যাংকের যে সুশাসনের বিষয়ে আমরা বলি সেটি নিশ্চিত করা যাবে। সিকিউরড ট্রান্সজেকশন অ্যাক্ট কেবিনেটে অনুমোদন হয়েছে, এটিও সংসদে উপস্থাপন করা হবে। ইনসলভেন্সি অ্যাক্ট সেটিও চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। একটি আইন করতে অনেকগুলো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আশা করি, সংসদের চলতি অধিবেশনেই এগুলো পাস হবে। খেলাপি ঋণের বিষয়ে আমরা ব্যাসেল-৩-এর যে আন্তর্জাতিক মান রয়েছে, এর আওতায় নিয়ে আসতে চাইছি। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যে বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশে এবং সরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা। সরকারি ব্যাংকগুলোর একটা লিগ্যাসি রয়েছে। অতীতে অনেক ঝামেলা হয়েছে সেখানে। এ কারণে এখানে একটু সময় লাগবে। এ দুটো বিষয় আমরা নজরদারিতে রেখেছি। এছাড়া আমার বেশকিছু ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংক চিহ্নিত করেছি। খেলাপি ঋণ, অ্যাডভান্সড-ডিপোজিট রেশিও, প্রভিশন ঘাটতি কত আছে এমন চার-পাঁচটি ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে আমরা সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংক চিহ্নিত করেছি। আমরা এসব ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি, কীভাবে তারা তিন বছরের মধ্যে এসব সূচকে উন্নতি করতে সক্ষম হবে।’
টাকা ছাপানোর বিষয়ে গভর্নর বলেন, ‘গত বছর ও তার আগের বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। এর ফলে ২ লাখ কোটি টাকা বাজার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢুকে গেছে। এ টাকাটা যদি বাজারে থাকত তাহলে সরকারের ১ লাখ কোটি টাকা ঋণ নেয়া কোনো বিষয় ছিল না। এখন যেহেতু বাজারে তারল্য সংকট রয়েছে, সেহেতু টাকা ছাপিয়ে বাজারে সরবরাহ করা হলে মূল্যস্ফীতির সম্ভাবনা নেই। আমাদের মানি সাপ্লাই এ অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম নিম্ন অবস্থানে রয়েছে। আমাদের জিডিপির ৩৮ শতাংশ হচ্ছে মানি সাপ্লাই। যুক্তরাজ্যে এটি ৭৬ শতাংশ। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে এটি ১০০ শতাংশ। আমাদের যে মূল্যস্ফীতি সেটি মানি সাপ্লাইয়ের জন্য হয়নি। আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি হয়েছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘পণ্যের দাম বাড়লেও অন্যদের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা ভালো। সারা পৃথিবীর দিকে তাকালে দেখবেন, আমরা কোন অবস্থায় আছি। নিম্ন আয়ের মানুষের কিছু কষ্ট হচ্ছে, এটা অর্থমন্ত্রীও বলেছেন। আমরা কিন্তু এটি মাথায় রেখে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে ডাল-চিনি দিয়েছি। পেঁয়াজের দাম যখন বেড়েছে আমরা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। আমরা আশা করছি, সামনে আরো ভালো কিছু হবে। তবে অন্যদের তুলনায় দেখলে আমরা ভালো আছি। বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিয়ে সমস্যা তৈরি করে। আমরা যেসব পণ্য ইমপোর্ট করি তার দাম যদি বাড়ে, বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। কোথাও কোথাও সমস্যা আছে। মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নিয়ে সমস্যা তৈরি করে।’