ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ

শুধু ব্যবসায়ীদের বক্তব্যকেই আমলে নিচ্ছে কি ট্যারিফ কমিশন?

প্রকাশ: মে ১৭, ২০২৩

সুজিত সাহা

বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার ওঠানামা করছে ১০৭ টাকার আশপাশে। যদিও ভোজ্যতেলের সর্বশেষ মূল্য নির্ধারণের সময় ব্যবসায়ীরা আমদানিতে ডলারের বিনিময় হার ধরেছেন ১১১ টাকা। ২০ শতাংশ শুল্কসহ প্রতি টন সয়াবিন তেলের আমদানি দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকা। এর সঙ্গে উৎপাদন পর্যায়ের ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করলে মূল্য দাঁড়ায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬২ টাকা। উৎপাদন খরচ, মোড়কজাত, অপচয় (প্রসেস লস), মুনাফা ও ডিলার কমিশন মিলিয়ে আরো ১৫ শতাংশ যুক্ত করে সবচেয়ে রক্ষণশীল হিসাব করেও দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৩ টাকা ৫০ পয়সার বেশি হওয়ার কথা নয়। যদিও ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদন নিয়ে বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৯ টাকায়।

ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক রেয়াতের মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ এপ্রিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। ব্যবসায়ীদের এ দাবিকে আমলে নিয়ে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্যারিফ কমিশন। এরপর গত ৫ মে সর্বশেষ দফায় বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১২ টাকা বাড়িয়ে লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, পাম অয়েলের দাম লিটারপ্রতি ১৮ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ৯ টাকা বাড়িয়ে ১৭৬ টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেন ভোজ্যতেলের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।

বিষয়টিতে আপত্তি তুলে ভোক্তা ও বাজার পর্যবেক্ষকরা অভিযোগ করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে গত এক বছরে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ৪৪ থেকে ৫২ শতাংশ। বিশ্ববাজার থেকে কম দামে ভোজ্যতেল ক্রয়ের সুযোগ থাকলেও ব্যবসায়ীরা ডলার সংকট ও বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং শুল্ক সুবিধা প্রত্যাহারের অজুহাত দেখিয়ে পণ্যটির দাম বাড়িয়ে নিয়েছেন। ট্যারিফ কমিশনও আমলে নিয়েছে শুধু ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য ও দাবিকে। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি ভালোমতো যাচাই বা ভোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি।

বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা পাম অয়েলের। বিশ্বব্যাংকের কমোডিটি পিংক শিটের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মে মাসে বিশ্ববাজারে পাম অয়েলের টনপ্রতি দৈনিক গড় মূল্য ছিল ১ হাজার ৬৮৩ ডলার। সেখান থেকে ৪০ শতাংশের বেশি কমে এপ্রিলে তা নেমে এসেছে ১ হাজার ৫ ডলারে। আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার পর্যবেক্ষক ও তথ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ইনডেক্স মুন্ডির ১২ মে পর্যন্ত হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এর পরিমাণ নেমে এসেছে ৮০২ ডলার ২৫ সেন্টে। আবার বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী এক বছরে সয়াবিন তেলের গড় দাম টনপ্রতি ১ হাজার ৯৪৮ ডলার থেকে ৪৭ শতাংশ কমে এপ্রিলে নেমে এসেছে ১ হাজার ৩০ ডলারে। ইনডেক্স মুন্ডির তথ্য অনুযায়ী, ১২ মে তা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৯৯ ডলারে। বিশ্বব্যাংকের গত বছরের মে মাসের তথ্য ও ইনডেক্স মুন্ডির সর্বশেষ হালনাগাদকৃত মূল্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েলের দাম কমেছে ৫২ শতাংশের বেশি। সয়াবিন তেলের কমেছে প্রায় ৪৪ শতাংশ।

কিন্তু দেশের বাজারে পাম অয়েল ও সয়াবিন তেলসহ ভোজ্যতেলের দামে এর কোনো প্রভাবই দেখা যাচ্ছে না। এর আগে ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর সর্বশেষ দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওই সময়ে সয়াবিনের দাম ছিল লিটারপ্রতি ১৮৭ টাকা। অর্থাৎ সাড়ে পাঁচ মাস পর ভোজ্যতেলের লিটারপ্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে ১২ টাকা। যদিও এ সময়ের পুরোটাজুড়েই আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের মূল্য ছিল নিম্নমুখী।

আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরের একই সময়ে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৯৫ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১০৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে শুল্ক প্রত্যাহারের পর বাড়তি ব্যয় হিসাব করেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের আমদানি, উৎপাদন বা পরিশোধন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। গত বছরের মার্চে ভোজ্যতেলের বাজারে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট স্থগিত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ব্যবসায়ীরা আমদানি পর্যায়েও ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারেরও দাবি তুলেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ১০ শতাংশ ভ্যাটের বিষয়টিও স্থগিত করে দেয়। ফলে দেশে ভোজ্যতেল আমদানি, পরিশোধন ও বিপণন পর্যায়ে ভ্যাটের মোট হার নেমে আসে মাত্র ৫ শতাংশে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ এপ্রিলের পর ভ্যাটের ওপর এ স্থগিতাদেশের সময়সীমা আর বাড়ানো হয়নি। ফলে ব্যবসায়ীদের ভোজ্যতেল আমদানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ ভ্যাট প্রদান করতে হচ্ছে।

কিন্তু এ শুল্ক ও পরিশোধন ব্যয় হিসাব করার পরও দেখা যায়, এর চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল-পাম অয়েলসহ আমদানীকৃত সব ধরনের ভোজ্যতেল। ট্যারিফ কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভোজ্যতেলের সর্বশেষ মূল্য নির্ধারণের সময় কোম্পানিগুলোর বিশ্ববাজার থেকে সয়াবিন তেল আমদানির মূল্য হিসাব করা হয়েছে টনপ্রতি ১ হাজার ২৫৮ ডলার (আমদানি শুল্কসহ)। আবার ডলারের বিনিময় হার সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও হিসাব করা হচ্ছে কার্ব মার্কেটের সর্বোচ্চ দরকে। এতে ব্যবসায়ীদের মুনাফা হলেও সাধারণ ভোক্তারা ঠকছেন বলে তারা নিজেরাই অভিযোগ তুলছেন।

কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, বিশ্ববাজারে কয়েক মাস ধরে ভোজ্যতেলের দাম প্রায় অর্ধেকে নামলেও শুধু শুল্ক পুনর্বহালের কারণ দেখিয়ে উল্টো দেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমতির দিকে থাকাকালে শুল্ক সুবিধা নিয়েও ব্যবসায়ীরা এতদিন অধিক মুনাফা করেছেন। কিন্তু দাম কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

তিনি আরো বলেন, ট্যারিফ কমিশন শুধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে, তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দাম নির্ধারণ করে। ক্যাব দীর্ঘদিন ধরে মূল্য সমন্বয়ের আলোচনায় সরকার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের পাশাপাশি ক্যাব ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের রাখার বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করে শুধু আমদানিকারকরা যখন চাইবে তখনই মূল্য সমন্বয়ের নামে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়া হয়। এতে দেশের সাধারণ ভোক্তারা চরমভাবে ঠকছেন।

ট্যারিফ কমিশনের ভাষ্য হলো, ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইনবন্ড, এক্সবন্ড ও এলসি (ঋণপত্র) মূল্যের গড় হিসাব করে আমদানি মূল্য হিসাব করা হয়। এরপর উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাট, উৎপাদন পর্যায়ে অবচয়, পরিশোধন খরচ, মোড়কজাত, আমদানিকারকের মুনাফা, ডিলার কমিশন, খুচরা বিক্রেতার মুনাফা ইত্যাদি হিসাব করে ভোক্তা পর্যায়ের সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য মো. ওয়াদুদ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, মূল্য নির্ধারণ কমিটির মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এলে ট্যারিফ কমিশন ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই করে। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির দেয়া আমদানি, পরিবহন, পরিশোধন, বাজারজাতে খরচ পর্যালোচনা করে একটি নিরপেক্ষ মূল্য প্রস্তাব করে। এতে শুধু ব্যবসায়ীদের তথ্যের কোনো প্রাধান্য থাকে না। আবার কোনো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান যদি ভুল তথ্য দেয়, সেটিও অনুসন্ধানের মাধ্যমে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত একটি পদ্ধতিতে পণ্যমূল্য নির্ধারণ করায় ট্যারিফ কমিশনের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত করারও সুযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক সপ্তাহ আগেও পাইকারি পর্যায়ে মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৬ হাজার ৫০০ টাকা। বর্তমানে একই মানের সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ৬ হাজার ৭০০ টাকায় উঠেছে। অন্যদিকে প্রতি মণ ৪ হাজার ৭০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকার পাম অয়েল বর্তমানে ৫ হাজার ৩০০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশে বিক্রি হওয়া ভোজ্যতেলের দামের পার্থক্য থাকায় আমদানিকারকরা লাভবান হলেও সাধারণ বিক্রেতা ও ভোক্তারা ভোজ্যতেল ক্রয়ে ঠকছেন।

খাতুনগঞ্জের একাধিক ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী জানান, গত সাড়ে পাঁচ মাস ভোজ্যতেলের দাম ক্রমাগত কমলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মূল্য নির্ধারণ কমিটি কিংবা ভোজ্যতেল আমদানিকারক কোম্পানিগুলোর সংগঠন কেউই ভোজ্যতেলের দাম কমানোর কোনো উদ্যোগই নেয়নি। এ সময়ে আমদানিকারকরা বিপুল পরিমাণ মুনাফা করেছেন। এরপর এনবিআর যখন শুল্ক ছাড় বন্ধ করে দিয়েছে, তখন ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বণিক বার্তাকে বলেন, ভোজ্যতেলের মধ্যে পাম অয়েল আমদানিসহ মোট খরচ পড়ে মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) ৪ হাজার ৬০০ টাকা। সেটি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৩০০ টাকা। বিশ্ববাজারে দাম কমার পরও দেশে অস্বাভাবিকভাবে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিকে কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন, ভোজ্যতেল আমদানির পর কোনো অংশই অবিক্রীত থাকে না। অথচ আমদানিকারকরা প্রসেস লসের নামে ভোক্তার ওপর ৫ শতাংশ অতিরিক্ত দাম বাড়ায়। সয়াবিনের দাম টনপ্রতি ২ হাজার ডলার হওয়ার পর লিটারপ্রতি (মোড়কজাত) দাম ছিল ২০৫ টাকা। এখন দাম ১ হাজার ডলারে নেমে এলেও ডলারের বিনিময় হার-শুল্ক ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে লিটারপ্রতি সয়াবিনের দাম ১৯৯ টাকা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যেভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বোঝায়, সেভাবেই দাম নির্ধারণ হয়।

দেশে ভোজ্যতেলের দামে আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব পড়তে আরো এক-দেড় মাস সময় লাগবে বলে দাবি করছেন ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা। টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেন, ভ্যাট পুনর্বহালের কারণে মূল্য সমন্বয়ের সময়ে গড় মূল্য ছিল ১ হাজার ২৫৮ ডলার। জাতীয় কমিটির গড় মূল্যের নির্ধারিত সূত্র হলো আগের এক মাসের এলসি ও ইনবন্ড এবং এক সপ্তাহের এক্সবন্ডের গড় করে ভিত্তিমূল্য বের করা হয়। তার আগের ভিত্তি মূল্য ছিল ১ হাজার ৩৩০ ডলার। তার মানে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কমেছিল ৫ শতাংশ। যদিও এ সময় ভ্যাটের নিট খরচ যুক্ত হয়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। সে বিবেচনায়ই মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কমার পরও দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে যে মূল্য আছে সে দামে দেশে ভোজ্যতেল আসতে অন্তত এক-দেড় মাস সময় লাগবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫