ল্যাপারোস্কোপি

সার্জারির পরও থাকতে হবে যত্নশীল

প্রকাশ: এপ্রিল ১০, ২০২৩

বণিক বার্তা ডেস্ক

সাধারণভাবে পেটের কোনো একটি সার্জারি করার জন্য কমপক্ষে সাত বা আট ইঞ্চি জায়গা কেটে তারপর করা হয়। এ পদ্ধতিতে অপারেশন শুধু চামড়া নয়, চামড়ার নিচে পেশি, চর্বি সব জায়গায় কেটে তারপর পেটের মধ্যে গিয়ে করা হয়। আর ল্যাপারোস্কোপিতে শুধু ছোট ছোট চারটি ছিদ্র করলেই অপারেশন করা যায়। মাত্র ৫ মিলিমিটারের তিনটি এবং একটি ১০ মিলিমিটারের ছিদ্র দিয়ে এ পদ্ধতিতে পেটের ভেতর থেকে পাথরসহ অন্যান্য রোগ নিরাময়ের জন্য অপারেশন করা হয়। 

গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ মিলিমিটারের গর্তে ব্যথা অনেক কম হয়। রোগী একদিন পরই বাড়ি চলে যেতে পারে এবং স্বাভাবিক কাজে ফিরতে পারে তিনদিনের মাথায়। ফলে এ সার্জারির সুবিধা অনেক। কিন্তু এ সার্জারির পরে অবশ্যই রোগীকে বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। 

ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি শেষে বাড়ি ফেরার পর রোগীকে বেশ কিছুদিন কয়েকটি নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। নইলে সামান্য অবহেলা থাকলেই তা থেকে সৃষ্টি হতে পারে জটিলতা। অপারেশনের সময় পেটে যে ছিদ্রগুলো করা হয় সেগুলো সঠিকভাবে নিরাময় করা না হলে হার্নিয়া (পেটের ভেতর থেকে অন্ত্রের কোনো অংশ বেরিয়ে আসা) হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অথবা সেখানে কোনো জীবাণুর সংক্রমণের মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই সেদিকে বেশি বেশি নজর দিতে হবে।

ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতিতে সার্জারি সম্পন্ন হওয়ার পরে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে—

ক্ষতস্থান শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখার বিকল্প নেই। কতদিন পর্যন্ত ক্ষতস্থান ভেজানো যাবে না, সে বিষয়ে ডাক্তারের কোনো নির্দেশনা থাকলে তা মেনে চলুন। তবে মাথা ও শরীরের অন্যান্য অংশ ভেজানো এবং পরিষ্কার রাখার বিষয়েও বিশেষভাবে যত্নশীল থাকুন।

ভিটামিন সি সব ধরনের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। তাই লেবু ও অন্যান্য টক ফল এ সময় খেতে হবে বেশি বেশি। তবে মনে রাখবেন, তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই রান্না করা বা চুলায় দেয়া টক ফল (যেমন চাটনি) কাজে আসবে না। আমলকী, লেবু, পেয়ারা এক্ষেত্রে ভালো সমাধান হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শমতো সেটা খেতে পারেন। 

সাধারণত সার্জারির পরে এক-দুই সপ্তাহ বিশ্রাম নেয়ার নির্দেশনা দেন ডাক্তাররা। সেটিও মেনে চলুন। তাহলে পরবর্তী কোনো জটিলতা এড়ানো সহজ হবে। সার্জারি-পরবর্তী তিন মাস ভারী কাজ এবং ভারী কিছু তোলা থেকে বিরত থাকুন। তা না হলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।

ডাক্তার যেসব ওষুধ খাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন, সেগুলো খান নিয়ম মেনে। তা না হলে সুস্থ হতে আরো বেশি সময় লেগে যাবে। পাতলা পায়খানা, ব্যথা, জ্বর বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে নিজে নিজে সেটি সমাধানের চেষ্টা না করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোন ওষুধ কত পরিমাণে খাবেন সেটার পরামর্শও তার কাছ থেকে নিন। ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। অন্য কোনো জটিলতা থাকলেও ডাক্তারকে জানান। তার পরামর্শে চললে বর্তমানে যেমন সহজে সুস্থ হতে পারবেন, তেমনি ভবিষ্যতেও আর কোনো সমস্যার মুখে পড়বেন না।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫