সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলা নিয়ে আইন রয়েছে। ওই আইনে তাদের কেন গ্রেফতার করা হয় না, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও দেশের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলে তাদের কেন শাস্তি দেয়া হয় না জানতে চেয়ে আমু বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে জনগণের সামনে স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তি দেয়া হোক।
এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থারও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এ সদস্য। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, (ওই সময়) সরকারে কে ছিল? ফখরুদ্দীনের পরিচয় কী ছিল? তিনি ছিলেন জিয়াউর রহমান কর্তৃক নিয়োজিত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিল কে? জেনারেল মতিন। তিনি ছিলেন খালেদা জিয়ার সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। মঈন উদ্দিন কে? ছয় জনকে বাদ দিয়ে খালেদা জিয়া যাকে সেনাবাহিনী প্রধান করেছিলেন।
আমু বলেন, সেদিন যে লোকগুলোকে নিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছে তারা ছিলেন বিএনপিপন্থী। আমরা গণতন্ত্র দেব– এই কথা বলে তারা আসে। কিন্তু এই সরকার যখন এল, তারা কিন্তু সদ্যবিগত বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেনি। প্রথমে গ্রেফতার করা হলো শেখ হাসিনাকে। তিনি ছিলেন বিরোধী দলের নেতা। খালেদা জিয়াকে কিন্তু গ্রেফতার করা হয়নি। তারপর সেই বিএনপিপন্থী সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ে তারা বোঝে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখাত। এর পর থেকেই তাদের নির্বাচনে এত ভয়।