সাংবাদিকদের
গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা শুরুর বিষয়টি বিশেষভাবে যাচাইয়ের দাবি রাখে। ইউরোপীয়
ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ঢাকা মিশন আজ এক টুইটারে এ মত প্রকাশ করেছে।
ইউরোপিয়ান
ইউনিয়ন বাংলাদেশের টুইটে বলা হয়, ইইউ এবং ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মতে—গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার অপরিহার্যতার আলোকে যে কোনো দেশে সাংবাদিকদের গ্রেফতার
এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি শুরু বিশেষভাবে যাচাই ও মনোযোগের দাবি রাখে।
সাভারে
কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপাত্তা
আইনে মামলা ও তাকে আটকের প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছে ইইউ।
এদিকে শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন
আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল
হোসেন এ নির্দেশ দেন।
এর
আগে সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এ সময় শামসকে
কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার।
আটক রাখার আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে
বিঘ্ন ঘটতে পারে বিধায় তাকে কারাগারে রাখা যেতে পারে।
শামসুজ্জামানকে
আদালতে তোলা প্রসঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। এটি
ছাড়াও গতকাল বুধবার রাতে তার বিরুদ্ধে একই আইনে রমনা থানায় আরো একটি মামলা হয়েছে। ওই
মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে। এগুলো ছাড়াও দেশের বিভিন্ন
স্থানে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান কামাল।
প্রসঙ্গত, গতকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাসা থেকে আটক করা হয় শামসুজ্জামানকে। তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি হয় রাজধানীর তেজগাঁও থানায়।