ইন্টারনেট ব্যবহারের সক্ষমতা পেল চ্যাটজিপিটি

প্রকাশ: মার্চ ২৮, ২০২৩

বণিক বার্তা ডেস্ক

ওপেনএআইয়ের তৈরি অত্যন্ত জনপ্রিয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল চ্যাটজিপিটি। বিশ্বজুড়ে এর লাখ লাখ ব্যবহারকারী রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক ব্লগ পোস্টে ওপেনএআই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে কিংবা কাজের মানোন্নয়নে ইন্টারনেট অ্যাকসেস করতে পারে চ্যাটজিপিটি। প্রযুক্তি তথ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকটাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ওপেনএআই বলছে, প্লাগইন ব্যবহারের মাধ্যমে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে নতুন এ ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। ব্যবহারকারীর প্রশ্নের আরো প্রাসঙ্গিক ও সঠিক উত্তর প্রদানের জন্য ফিচারটি সহায়ক হবে। এতে ওয়েবসাইট এবং অনলাইন উৎসগুলো ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে চ্যাটজিপিটি। নতুন যুক্ত করা প্লাগইনগুলো এআই চ্যাটবটকে সংবাদ, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও নিয়মিত আপডেট হওয়া বিভিন্ন উৎসের বিস্তৃত তথ্যে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়।

ফিচারটি চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের সঠিক এবং হালনাগাদ তথ্য দিতে সক্ষম। এটি ওপেনএআইয়ের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এর আগে ইনপুট দেয়া ডাটার ওপর ভিত্তি করে ব্যবহারকারীকে উত্তর দিত চ্যাটবটটি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর তথ্যের সীমাবদ্ধতা ছিল। সুতরাং জনপ্রিয় চ্যাটবটটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের জন্য সর্বশেষ তথ্য বা উত্তর সরবরাহ করতে ব্যর্থও হতে পারে। তবে প্লাগইনগুলো যুক্ত করলে ব্যবহারকারীদের বর্তমান এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করতে পারে চ্যাটজিপিটি।

প্লাগইনগুলো চ্যাটজিপিটির বর্তমান গঠন কাঠামোর সঙ্গে নির্বিঘ্নে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ফলে চ্যাটবটটিকে নিরাপদ ও  দক্ষতার সঙ্গে ইন্টারনেট অ্যাকসেস করতে সক্ষম করে। ওপেনএআইয়ের ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, প্লাগইনগুলো শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ডেভেলপমেন্ট টিম সর্বাধিক প্রচেষ্টা করেছে। প্লাগইন যোগ করা চ্যাটজিপিটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রযুক্তিটি এরই মধ্যে নিজেকে বিশ্বের অন্যতম উন্নত এআই ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইন্টারনেটে অ্যাকসেস করার সক্ষমতার কারণে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরো উন্নত হবে। এতে প্রযুক্তির নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে।

চ্যাটজিপিটির সর্বশেষ আপডেটের কার্যকারিতা ব্যাপক। গবেষণা ও ডাটা বিশ্লেষণে সহায়তা থেকে শুরু করে গ্রাহক পরিষেবার মতো কাজগুলোয় ব্যক্তি এবং ব্যবসায়িক পর্যায়ে সহায়তা করবে ফিচারটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি এখন বিস্তৃত উৎস ব্যবহার করতে পারে। আগের চেয়ে আরো সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করতে পারে। যদিও ফিচারটি নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। তবে এটি ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস করা এআই ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলোর নৈতিক প্রভাব সম্পর্কেও প্রশ্ন রয়ে যায়।

অন্যান্য প্রযুক্তির মতো এর অপব্যবহারের সম্ভাবনা বরাবরের মতোই রয়ে যায়। ডেভেলপারদের জন্য এটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; যাতে চ্যাটজিপিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে এর নৈতিক অবস্থানও যাতে ঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। 

মোটকথা, প্লাগইন যুক্ত করা চ্যাটজিপিটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটিকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে এবং ব্যবহারকারীদের আরো সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক উত্তর দিতে সক্ষম করে তুলেছে। যদিও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে প্রযুক্তিটিকে। তবে এর সম্ভাব্য ব্যবহারের সুযোগ বিস্তৃত। প্রযুক্তিটি আগামী বছরগুলোয় কীভাবে বিকশিত হবে সে বিষয়টিই নিয়েই এখন চলছে গুঞ্জন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫