তৃতীয় ওয়ানডে

আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

প্রকাশ: মার্চ ২৩, ২০২৩

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের পেস বোলারদের গতিতে বিধ্বস্ত হয়ে ১০১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। এটা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে ৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামেই ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬১ রানে অলআউট করেছিল টাইগাররা। তারপরেই এখন আয়ারল্যান্ডের ১০১ রান। ছোট্ট টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৩.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত হলো তামিম ইকবালদের। লিটন কুমার দাস ৩৮ বলে ৫০ ও তামিম ৪১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ওয়ানডেতে এই প্রথম ১০ উইকেটে কোনো দলকে হারাল বাংলাদেশ।

 

সিলেটে আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয় আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম ওভারে দলের ১৪ রানের সময় স্টিফেন ডোহেনির উইকেট শিকার করে ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করেন পেসার হাসান মাহমুদ। এরপর তিনি আরো চারটি উইকেট শিকার করেন। তার সঙ্গে তাণ্ডবে যোগ দেন তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেনও।

 

হাসান মাহমুদ ৩২ রানে পাঁচটি, তাসকিন আহমেদ ২৬ রানে তিনটি ও এবাদত হোসেন ২৯ রানে দুটি উইকেট নেন। পেসারদের দাপটের দিনে স্পিনাররা যেন বিশ্রামই কাটিয়েছেন। নাসুম আহমেদ তিন ওভার ও মেহেদী হাসান মিরাজ এক ওভার বোলিং করেছেন। আর সাকিব আল হাসানকে তো বলই হাত নিতে হয়নি।

 

বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য বোলিং পারফরম্যান্সের দিকে আইরিশদের হয়ে কার্টিস ক্যামফার ৪৮ বলে ৩৬ ও লরকান টাকার ৩১ বলে ২৮ রান করেন।

 

এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন। ব্যাটার ইয়াসির আলীর জায়গায় একাদশে এসেছেন অলরাউন্ডার মিরাজ, যিনি মাথার চোটের কারণে আগের দুটি ম্যাচে খেলেননি।

 

সিলেটে প্রথম ম্যাচে ৩৩৮ রানের রেকর্ড স্কোর গড়ে প্রতিপক্ষকে হারায় বাংলাদেশ। একই মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করে দলকে রেকর্ড ৩৪৯ রানের বিশাল পুঁজি এনে দেন মুশফিকুর রহিম। যদিও বৃষ্টির কারণে খেলা পণ্ড হলে বিফলেই যায় তার ৬০ বলে খেলা ১০০ রানের ঝলমলে ইনিংসটি।

 

বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সিরিজ শুরু আগে সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন, ‘‌ইংল্যান্ড সিরিজে ভালো করা পেস বোলাররা এবার সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও উইকেট থেকে সাহায্য পাবে। ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেটই মনে হলো। পেসারদের জন্য, এমনকি স্পিনারদের জন্যও ভালো। আমি সব সময়ই স্পিনারদের এগিয়ে রাখি। তারা কৌশলগতপূর্ণভাবে ত্রাতা আর দক্ষও। কিন্তু এবার আমার পেসারদের সময় আসবে। সেটি করতে পারলে আমি খুশিই হবো।’

 

হাথুরুর কথাটিকে আজ সত্য প্রমাণ করলেন অ্যালান ডোনাল্ডের তিন শিষ্য-হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেন।

 

 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫