ইউএপির এগিয়ে চলার ২৫ বছর

প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩

ফিচার প্রতিবেদক

১৯৯৬ সালে মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের। মাত্র ২৫ বছরেই ইউএপি অর্জন করেছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকের আস্থা। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র ফার্মগেটে স্থাপিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির দৃষ্টিনন্দন স্থায়ী ক্যাম্পাস। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়টি বিভাগে প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। আটটি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ১০টি পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। শিক্ষক আছেন ৩০৮ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিক্ষক অনুপাত ২০ : ১।

স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ডিজাইন, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কুল অব মেডিসিন স্কুল অব বিজনেস, স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস, স্কুল অব , এবং স্কুল অব সায়েন্স সাতটি অনুষদের অধীনে রয়েছে নয়টি সমৃদ্ধ বিভাগ। রয়েছে আর্কিটেকচার, বেসিক সায়েন্সেস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইংলিশ, অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ফার্মেসি বিভাগ। রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামও। ইউনেস্কো মদনজিৎ সিং সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস স্টাডিজের অধীনে বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীরা পূর্ণ বৃত্তিতে ইউএপির আইন বিভাগে পড়ার সুযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয়ে।


   রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র ফার্মগেটে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল, স্থাপত্য, ফার্মেসি এবং আইন ডিগ্রি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং রেজিস্ট্রেশন কাউন্সিল দ্বারা স্বীকৃত। সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‍্যাংকিং ২০২২- ইউএপি বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নম্বরে রয়েছে এবং বাংলাদেশের সব পাবলিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮তম স্থান অধিকার করেছে। যার এশিয়া র‍্যাংকিং ৩৩৩ বিশ্ব র‍্যাংকিং ৭২৯। সপ্তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থায়ী সনদ লাভসহ ইউজিসির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুয়ারেন্স সেল (আইকিউএসি) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রাম ভেরি গুড সার্টিফিকেশন পাওয়া। ওয়েবমেট্রিকস র‍্যাংকিং ২০২১- ইউএপি বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নম্বরে রয়েছে এবং বাংলাদেশের সব পাবলিক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মধ্যে ২৭তম স্থান অধিকার করেছে। যার বিশ্ব র‍্যাংকিং ৩৯৮৯।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়ে এসএসসি এইচএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী শতাংশ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ দেয়ার কথা থাকলেও মোট শিক্ষার্থীর ১০-১২ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি মুক্ত পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সেমিস্টার ফলাফলের ওপর মেধাবী শিক্ষার্থীরা শতভাগ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড় পায়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বৃত্তি, ভিসি স্পেশাল ওয়েভার, দুর্গম অনুন্নত এলাকার শিক্ষার্থীদের বৃত্তিসহ রকম আট ধরনের বৃত্তি প্রদান করে ইউএপি। প্রতিষ্ঠানটি বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বেশি শিক্ষাবৃত্তি দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ক্যাম্পাসে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমন্বিত মিলনায়তন, ৬০টির অধিক ক্লাসরুম, ৫২টির বেশি আধুনিক গবেষণাগার, নান্দনিক কেন্দ্রীয় পাঠাগার, মেডিকেল সার্ভিস, আধুনিক ক্যাফেটেরিয়া, কাউন্সিলিং সেন্টার, ইনডোর গেমসরুমসহ সেন্ট্রাল ক্লাব রয়েছে ১৫টি।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী শিক্ষার পাশাপাশি একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কোলাবরেশনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নামকরা কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপের আয়োজন করছে নিয়মিত। ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক একটি স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠবে সেদিন আর বেশি দূর নয়।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫