ডায়ালাইসিস সাধারণত দুই ধরনের। হেমো ডায়ালাইসিস ও পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস। যেটা মেশিনের মাধ্যমে করা হয় সেটা হেমো ডায়ালাইসিস, একটা সেন্টারের মধ্যে ডায়ালাইসিস মেশিন দিয়ে এ চিকিত্সা নিতে পারেন অথবা কারো যদি নিজের বাসায় কিনে নেয়ার সক্ষমতা থাকে তাহলে বাসায়ও ডায়ালাইসিস করা যায় মেশিনের সাহায্যে।
বাসায় ডায়ালাইসিস করার কয়েকটি ভাগ আছে। আপনি চাইলে বাসায়ই সপ্তাহে তিনবার ৩-৪ ঘণ্টা করে অথবা আরো বেশি সময় করে ডায়ালাইসিস করতে পারেন। অথবা সপ্তাহে পাঁচ থেকে সাতবার ছোট ছোট সময় করে ডায়ালাইসিস করতে পারেন। আরেকটা ডায়ালাইসিস করতে পারেন রাতে ঘুমানোর সময়। সপ্তাহে ছয়দিন বা একদিন পরপর রাতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টাব্যাপী এ ডায়ালাইসিস করা যায়। ডায়ালাইসিসের পদ্ধতি ও বিভিন্ন তথ্য জেনে নিয়ে কোনো একটি সেন্টার রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। রোগী নিজে এবং রোগীর যত্নকারী একজন ডায়ালাইজার ব্যবহার করা শিখে নিলে ঘরে বসেই করা সম্ভব ডায়ালাইসিস। রোগীর যত্নকারী হতে পারেন তার পরিবারের সদস্য বা বন্ধু। রোগীকে যত্ন করতে পারেন একজন নার্স বা টেকনিশিয়ানও।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বেশকিছু সহজে ব্যবহারযোগ্য ডায়ালাইজার মেশিন তৈরি করা হচ্ছে। নতুন এসব প্রযুক্তি সহজ করছে আমাদের চিকিত্সা ব্যবস্থাকে। তবে তার আগে দেখে নিতে হবে রোগী বাসায় ডায়ালাইসিস করার উপযোগী কিনা। সেই সঙ্গে বাসায় নিজের ডায়ালাইসিস করতে হলে শিখে নিতে হবে বেশকিছু বিষয়। সেগুলো যেমন রোগীকে জানতে হবে তেমন তার যত্নকারীকেও জানতে হবে। আর দেখতে হবে, যে প্রতিষ্ঠানে চিকিত্সা চলছিল তারা বাসায় ডায়ালাইসিস সেবা দিয়ে থাকে কিনা।
এ পদ্ধতি ছাড়াও কিছু রোগীকে কন্টিনিউয়াস অ্যাম্বুলেটরি পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস করা হয়। এ চিকিত্সা পদ্ধতিতে ডায়ালাইসিসটা সবসময় হতে থাকবে, রোগী চলাচল করতে পারবে নিজের প্রয়োজনমতো। তাকে কোনো সেন্টারে যেতে হবে না। সে অফিস-আদালত করবে, স্বাভাবিক কাজকর্ম করবে এবং নিজে নিজেই এ ডায়ালাইসিস করবে। এ ডায়ালাইসিসে দিনে তিনটা সেশন থাকে, রোগী পেটে পানি ঢোকাবে, ৬ ঘণ্টা রাখবে, তারপর পানিটা বের করে দেবে। এতে কোনো মেশিনের ওপর নির্ভর করতে হবে না বা কারো সাহায্য লাগবে না। রোগী নিজে এ ডায়ালাইসিসে করতে পারবে।