ভোগবিলাসে তিন বছরেই সাহেদ উড়িয়েছেন ৯ কোটি টাকা

প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩

নিহাল হাসনাইন

অবকাশ যাপন করেছেন পাঁচ তারকা রিসোর্টে। শপিং করেছেন সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে। ব্যবহার করেছেন দামি ব্র্যান্ডের নিত্যনতুন মডেলের গাড়ি। এভাবেই বিলাসী জীবনে মাত্র তিন বছরেই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম উড়িয়েছেন কোটি ৯৯ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা। তার ব্যাংক হিসাবে রয়েছে কোটি লাখ টাকা। অর্থের পুরোটাই তার প্রতারণালব্ধ আয় বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)

দুই সহযোগীসহ সাহেদ তার তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করে মানি লন্ডারিং মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে সংস্থাটি। চলতি সপ্তাহেই অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া হবে বলে জানান তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

সরকারিভাবে নভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি করা হাসপাতালগুলোর একটি ছিল রিজেন্ট হাসপাতাল। বাংলাদেশে করোনা মহামারী ঊর্ধ্বমুখী থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের জুলাইয়ের শুরুর দিকে রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পর করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অভিযোগে ওই বছরই সিলগালা করা হয় উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতাল রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়। এর মধ্যেই পালিয়ে যান সাহেদ। র্যাবের অভিযানে দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর সাহেদের প্রতারণাসহ নানা অপকর্ম নিয়ে অনুসন্ধানে নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

সিআইডির হিসাবে, ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি ৯০ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭০ টাকা আত্মসাৎ করেন সাহেদ। এর বাইরে কভিড পরীক্ষার জাল সনদ সরবরাহ করে আরো কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার ২২৭ টাকা আত্মসাৎ করেন। সব মিলিয়ে তিন বছরে তার প্রতারণালব্ধ অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ কোটি লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা। এর মধ্যে কোটি ৯৯ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা তিনি ভোগবিলাসে খরচ করেন।

সাহেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত করেছেন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, বিস্তর তদন্তে সাহেদের মোট ১১ কোটি লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কোটি লাখ টাকা দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে আদালতের নির্দেশে জব্দ রয়েছে। তার আত্মসাতের অর্থের গন্তব্য শনাক্ত করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫