দগ্ধ

পোড়ার ক্ষেত্রে শতাংশ আর ডিগ্রি দিয়ে কী বোঝায়

প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩

বণিক বার্তা ডেস্ক

দগ্ধ রোগীদের পরিস্থিতি বোঝাতে দুটি শব্দ ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা। তার একটি হচ্ছে শতাংশ আর অন্যটি হচ্ছে ডিগ্রি। এই দুটি শব্দেরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ। অর্থাৎ দুটি শব্দে রোগীর পরিস্থিতি ঝুঁকি বোঝা যায় অনেকাংশেই।

পোড়ার ধরনের মধ্যেও রয়েছে পার্থক্য। আগুন লেগে শরীর পুড়ে যাওয়াকে বলা হয় থার্মাল বার্ন। বৈদ্যুতিক শকের কারণে হয় ইলেকট্রিক বার্ন। তাছাড়া অ্যাসিড বা ধরনের কোনো কেমিক্যাল অধিক পরিমাণে শরীরের সংস্পর্শে এলে শরীর পুড়ে যায়। একে বলে কেমিক্যাল বার্ন। ইলেকট্রিকাল বার্নে রোগীকে প্রথমে যেখান থেকে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়েছে সেই উৎস থেকে সরাতে হবে। ইলেকট্রিসিটি শরীরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। সবচেয়ে দ্রুত প্রবাহিত হয় স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে এবং সবচেয়ে ধীরে প্রবাহিত হয় হাড়ের মধ্য দিয়ে। সে কারণে হাড়ের সঙ্গে যে মাংস লেগে থাকে, সেগুলো পুড়ে যেতে থাকে। এজন্য দেখা যায় হাত দিয়ে কেউ বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হচ্ছে কিন্তু কাঁধের ওখানে হাড় বেরিয়ে গেছে। আর কেমিক্যাল বার্ন হলে পোড়া জায়গাটা শুধুমাত্র পানি দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে (ন্যূনতম আধা ঘণ্টা) ধুতে হবে। সব কেমিক্যাল বার্ন সাধারণত থার্ড ডিগ্রি বার্ন বা ডিপ বার্ন হয়।

পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ডিগ্রি দিয়েও বোঝানো হয় ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা। সাধারণত ভিন্ন মাত্রার পোড়া বোঝাতে ফার্স্ট ডিগ্রি, সেকেন্ড ডিগ্রি, থার্ড ডিগ্রি বার্ন বলা হয়ে থাকে। ত্বকের দুটি স্তর আছে। ওপরের পাতলা স্তরটিকে বলে এপিডার্মিস। তার নিচের স্তরটিকে বলে ডার্মিস। এটি একটি পুরু স্তর। শরীরের একেক জায়গায় ডার্মিসের পুরুত্ব একেক রকম। চোখের পাতায় সেটার পুরুত্ব সবচেয়ে কম আর সবচেয়ে বেশি পুরু পিঠের ত্বক। যখন শুধু এপিডার্মিস পুড়ে, সেটিকে বলে ফার্স্ট ডিগ্রি বার্ন। যদি ওপরের স্তরের সঙ্গে নিচের স্তরটি সামান্য পুড়ে, সেটিকে বলে সেকেন্ড ডিগ্রি বার্ন। যদি উভয় স্তরই পুড়ে যায়, সেটিকে বলে থার্ড ডিগ্রি বা ডিপ বার্ন। থার্ড ডিগ্রি বার্নের ক্ষেত্রে অপারেশন করতে হয়। স্কিন গ্রাফটও করতে হয়।

এছাড়া রোগী কত শতাংশ পুড়েছে সেটা ব্যাখ্যা করা হয় শতাংশের হিসেবে। তথ্য দিয়েও বোঝা যায় রোগী কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটা শরীরকে ১০০ ভাগে ভাগ করা হয়। শরীরের পুরো ত্বকের একেকটা ভাগকে একেক পার্সেন্ট বলে। সেখানে শতাংশ বলতে একজনের হাতের তালু পরিমাণ অংশকে বোঝায়। টোটাল বডি সারফেস এরিয়া (টিবিএসএ) হলো ১০০ ভাগ, তার ১০ ভাগ পুড়ে গেলে বলা যায়, রোগী ১০ শতাংশ দগ্ধ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫