টুইটারে ফিরেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। ফিরে চুপচাপ থাকবেন সেটা আশা করা যায় না। পুরনো ধারা বজায় রেখে নানা বিষয়ে নানা মত দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এদিকে বলিউডের সাম্প্রতিক আলোচ্য বিষয় শাহরুখ খানের ‘পাঠান’। সিনেমা মুক্তির পর থেকেই পাঠান নিয়ে বেশকিছু টুইট করেছেন কঙ্গনা। এর মধ্যে একটি টুইট আবার তাকে বিতর্কের মুখে ফেলেছে। এ টুইটে তার বক্তব্য ছিল যে খান ও মুসলিম অভিনেতাদের প্রতি তার দেশের দুর্বলতা আছে।
কঙ্গনার এ টুইটের মধ্যে একটা টুইস্টও অবশ্য আছে। পুরো টুইট পড়লে সেটা বোঝা যায়। কঙ্গনা লিখেছেন, ‘এ দেশ শুধু খানদের ভালোবেসেছে এবং মুসলিম অভিনেত্রীদের প্রতি তাদের আগ্রহ আছে। এ কারণে হলেও ভারতকে ঘৃণা ও ফ্যাসিজমের দোষ দেয়া যায় না। ভারতের মতো অন্য কোনো দেশ পৃথিবীতে নেই।’ কঙ্গনা মূলত এ কথা বলার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি খোঁচা দিয়েছেন। প্রথমত, তিনি বলতে চান খানদেরই কেবল দর্শকরা বিশেষ মনোযোগ দিয়ে গ্রহণ করেন। এরপর আসে অভিনেত্রীদের কথা। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই দেখা যায় বলিউডে অন্য ধর্মের বহু নায়ক-নায়িকা দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন।
কঙ্গনা আলোচনায় থাকতে পছন্দ করেন। তার সাম্প্রতিক এ মন্তব্যও আলোচনায় থাকার কৌশল। কেননা পাঠান নিয়ে শুরু থেকে তিনি ইতিবাচক কথাই বলে যাচ্ছিলেন। সাম্প্রতিক এ টুইটের আগে তিনি লিখেছিলেন যে পাঠান নিয়ে যেন কোনো রাজনীতি না করা হয়। পাঠানকে একটি সিনেমা হিসেবেই গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন কঙ্গনা। তিনি অন্য একটি পোস্টের সাপেক্ষে সাম্প্রতিক বক্তব্যটি দেন। সে পোস্টে বলা হয়েছিল বয়কট মূলত বলিউডের ক্ষতি করতে পারে না।
কঙ্গনার এ টুইটের ফলে তার ফলোয়ারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। একজন কমেন্ট করেছেন, আপনি কি এ দেশের অংশ না? সবসময়ই খানদের আপনি অকারণে আক্রমণ করে থাকেন। আরেকজন লিখেছেন, ‘সব বিষয়কে মুসলিম, অমুসলিম বিভাজনের দৃষ্টিতে দেখা আপনার এক ধরনের অসুখ।’ এ আগেও কঙ্গনা পাঠান প্রসঙ্গে নেতিবাচক কথা লিখেছিলেন। পোস্ট করে বলেছিলেন, ‘সব ধরনের ঘৃণা ও রাজনীতি এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টা ভারতের ভালোবাসার কারণে হয়েছে। যারা অনেক আশা নিয়ে আছেন তাদের জানা উচিত, পাঠান কেবল একটি সিনেমা।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস