যাত্রী সংকটের কারণে রংপুর থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার
বাস চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে অর্ধেকের কমে নেমে
এসেছে বাস সংখ্যা।
সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগরীর কামারপাড়া
কোচ স্ট্যান্ড থেকে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ৭-৮টি বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যেতে দেখা
গিয়েছে। অন্যান্য দিনে এই সংখ্যা ২০-২৫ এর মতো থাকে বলে জানালেন কাউন্টার মাস্টাররা।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত বাসের দেখা
পাচ্ছেন অনেক যাত্রী। কেউ কেউ বাড়িও ফিরে যাচ্ছেন।
বিএনপির আগামীকালের সমাবেশ ঘিরে যাত্রীরা
আতঙ্কে রাজধানী যাওয়া বন্ধ রেখেছেন বলে ধারণা বাস সংশ্লিষ্টদের।
এসআর পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আব্দুল
বাতেন বলেন, যাত্রী না থাকার কারণে বাস চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে এনা পরিবহনের
দুটি বাস রংপুর থেকে ঢাকা উদ্দেশে ছেড়ে গিয়েছে। অন্যদিন এই সময়ে আমাদের পরিবহনের
৫টি গাড়ি ছেড়ে যেত।
এক যাত্রী জানান, গাজীপুর যাওয়ার জন্য গত
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) টিকিট কেটেছেন। কিন্তু আজ সকালে কাউন্টারে জানতে পারেন, সব মিলিয়ে
সাতজন টিকিট কিনেছেন। এ অবস্থায় বাস ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আরো যাত্রী এলে বা অন্য
কোনো বাস ছেড়ে গেলে সেখানে ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন বাস সংশ্লিষ্টরা। বিপাকে
পড়ে বিকল্প উপায়ে ঢাকা যাওয়ার চিন্তাও করছেন এই যাত্রী।
শ্যামলী পরিবহনের সহকারী আসলাম বলেন, অন্যান্য
দিন এই সময় পর্যন্ত ৫-৬টি বাস ছেড়ে গেলেও আজ মাত্র একটি বাস ছেড়ে গেছে। যাত্রী না
থাকার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে যাত্রী সঙ্কটের কারণে বাসস্ট্যান্ড
থেকে পরিবহন চলাচল সীমিত থাকলেও বিকল্প উপায়ে খুঁজছেন অনেকে। রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার
মর্ডান মোড়ে সকাল থেকে যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর যে বাসটি আসছে সেটিতে করে ঢাকার
উদ্দেশে রওয়ানা করছেন। তবে রিজার্ভসহ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোন পরিবহন চলাচল করছে
কিনা তল্লাশি করতে মর্ডান মোড়ে পুলিশের একটি ভ্রাম্যমান চেকপোস্টকে কাজ করতে দেখা
গিয়েছে।
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লিপ্পন বলেন, বাস বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যাত্রীরা
ভয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন না। এ কারণে অনেকেই বাস ছাড়ছেন না। এটিকে বাস ধর্মঘট বলা যাবে না।