দেশ-বিদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী’

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০৯, ২০২২

ফিচার প্রতিবেদক

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে গতকাল শুরু হয়েছে ‘১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০২২’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করেছেন। তিনি গতকাল সকালে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। আয়োজনের শুরু হয় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে। 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় আর্ট গ্যালারিতে ৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় প্রদর্শনীতে এ বছর বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মিসর, তুরস্ক, পর্তুগাল, ভেনিজুয়েলাসহ বিশ্বের ১১৪ দেশের ৪৯৩ জন শিল্পীর ৬৪৯টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন হচ্ছে। 

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠেয় এ প্রদর্শনীতে ছয়জন শিল্পীকে সম্মানসূচক পুরস্কার এবং অন্য তিনজনকে গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের জুরি বোর্ডের সভাপতি শিল্পী রফিকুন নবী পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর, জুরি বোর্ডের সদস্য ও বিশিষ্ট পোলিশ শিল্প সমালোচক জারোস্লা সুচান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং ‘১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০২২’-এর প্রধান সমন্বয়কারী লিয়াকত আলী লাকী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

চার দশক ধরে এ উৎসবের আয়োজন করে আসছে শিল্পকলা একাডেমি। দুই বছর পরপর অনুষ্ঠেয় এ আয়োজন করোনার কারণে ২০১৮ সালের পর কয়েক দফা পিছিয়ে এ বছর আবার শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে আয়োজনটি পরিচিতি পেয়েছে এশিয়ার বৃহৎ চারুকলা প্রদর্শনী হিসেবে। ১৯৮১ সাল থেকে চার দশক ধরে বিরতিহীনভাবে আয়োজন করা হচ্ছে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব ‘দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ’। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এ আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসবের আয়োজন করে আসছে।

উৎসবে বিদেশী শিল্পী যারা আসছেন, তাদের নিয়ে সেমিনার, শিল্পবিষয়ক পর্যালোচনামূলক আলোচনা, আর্ট ট্রিপ ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে বিদেশী শিল্পীদের সাতদিন থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি তাদের নিয়ে দেশের নানা প্রান্তে ভ্রমণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

প্রদর্শনীর বাইরে ১৯তম আসরে বিদেশী শিল্পীদের নিয়ে রয়েছে পৃথক পরিকল্পনা। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী উৎসবের চতুর্থ দিন ১১ ডিসেম্বর ভিনদেশী শিল্পীদের নিয়ে যাওয়া হবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়, জাতির পিতার সমাধিসৌধে। ফিরতি পথে অতিথিদের নিয়ে থাকছে নৌকাভ্রমণ।

চিত্রকর্ম, স্থাপনা শিল্প থেকে পারফরমিং আর্টের মাধ্যমে প্রদর্শনীতে নবমাত্রা যোগ করবেন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত শিল্পীরা। বিশ্বখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে দেশবরেণ্য ও প্রতিভাবান শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। তাই বিশেষ আয়োজন থাকছে দেশবরেণ্য শিল্পীদের শিল্পকর্ম নিয়ে। 

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসান, এসএম সুলতান, সফিউদ্দিন আহমদ, কাইয়ুম চৌধুরীসহ দেশের পৃথিকৃৎ ও প্রয়াত বরেণ্য শিল্পীদের সৃষ্ট শিল্পকর্ম নিয়ে পৃথক প্রদর্শনী থাকবে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনালয়ে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫