অভিবাসী শ্রমিকদের উপার্জনে ভর করে চলতি বছরে
ভারত এক বিশেষ মাইলফলক গড়তে যাচ্ছে। এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি ২০২২ সালের
বার্ষিক রেমিট্যান্স গ্রহণে ১০০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে এগিয়ে যাচ্ছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে প্রথমবারের মতো কোনো দেশ
এ মাইলফলকে পৌঁছাবে। গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন উল্লেখ
করে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন।
বিশ্বব্যাংক বলছে, নিম্ন অর্থনীতির দেশে পরিবারের
ব্যয়ভার বহনের গুরুত্বপূর্ণ উত্স হলো অভিবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স। এ আয় উন্নয়নশীল
দেশগুলোর দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়ক ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ
তৈরি করে।
অতীতে সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতারের মতো উপসাগরীয়
দেশে কর্মরত স্বল্প-দক্ষ ভারতীয় শ্রমিকরা ছিল রেমিট্যান্সের মূল উৎস। এখন যুক্তরাষ্ট্র,
যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশে অধিক-দক্ষতাসম্পন্ন পদে বেশি সুযোগ পাচ্ছে।
যা দেশটির রেমিট্যান্স প্রবাহ তথা অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সাহায্য করছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২১ সালে ভারতীয়
কর্মীরা বিদেশে ৮৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে। যা দেশটিকে শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রাপক
দেশে পরিণত করে।
তবে এও বলছে, রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্সের
মাইলফলকে পৌঁছানো সত্ত্বেও ২০২২ সালে দেশটির রেমিট্যান্স প্রবাহ হবে জিডিপির মাত্র
৩ শতাংশ।
চলতি বছরে রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির পরেই রয়েছে মেক্সিকো, চীন ও ফিলিপাইন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ও বৈশ্বিক মন্দার কারণে ভারতের রেমিট্যান্স প্রবাহ আগামী বছর কমে আসতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।