এনবিএফআই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা

দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হবে যশোর

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০১, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষির পাশাপাশি দেশের ক্ষুদ্র মাঝারি আকারের শিল্পে যশোর দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। তবে সম্প্রতি বছরগুলোয় অটোমোবাইল, তৈরি পোশাক বস্ত্রসহ বিভিন্ন খাতের বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যশোরে জমি কিনছে, কারখানা গড়ে তুলছে, ইপিজেড হচ্ছে। পদ্মা সেতুসহ অঞ্চলে গড়ে ওঠা উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামোর কারণে উদ্যোক্তাদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে যশোর। সামনে পদ্মা রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের গতি আরো ত্বরান্বিত হবে। সব মিলিয়ে ক্রমেই দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে যশোর।

গতকাল বণিক বার্তা আয়োজিত এনবিএফআই মেলা-যশোর-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। যশোরের হোটেল ওরিয়ন ইন্টারন্যাশনালে দেশের সামনের সারির -ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) অংশগ্রহণে দিনব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী . শামসুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন যশোর- আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন যশোর- আসনের সংসদ সদস্য শাহিন চাকলাদার।

বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মমিনুল ইসলাম, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও খাজা শাহরিয়ার, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও মো. কায়সার হামিদ, ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও নাসিমুল বাতেন, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবুল আহসান, লংকান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সিইও কান্তি কুমার সাহা, আইডিএলসি ফাইন্যান্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ জাভেদ নূর, বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক শাহরিয়ার রহমান যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রফিকুল হাসান।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী . শামসুল আলম বলেন, যশোর দেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এলাকা। জেলার শাক-সবজি, বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল, মিষ্টি খেজুরের রস বিখ্যাত। পদ্মা সেতু হওয়ায় অর্থনৈতিক সুযোগ আরো বেড়েছে। -ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে বণিক বার্তার আয়োজন মূলত সামাজিক দায়বদ্ধতারই বহিঃপ্রকাশ। ব্যবসা মূলত ঢাকা চট্টগ্রামকেন্দ্রিক হয়ে আছে। এতে বৈচিত্র্য আনা দরকার। যশোরে বিনিয়োগে অনেক সুযোগ রয়েছে। কৃষি খাতে বিনিয়োগের অপার সুযোগ রয়েছে। এসব কারণে সব ব্যাংকের শাখা জেলায় আছে। আশা করব জেলায় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ আরো বাড়াবেন।

. শামসুল আলম আরো বলেন, আর্থিক খাত হলো আমাদের শিরা-উপশিরা। আর আর্থিক খাতের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো -ব্যাংক আর্থিক খাত। জামানতের বাইরে ব্যবসার সম্ভাব্যতা ঐতিহ্য চিন্তা করে -ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ দিয়ে থাকে। ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা ঋণখেলাপি। কিন্তু -ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকি কম। এখানে কম সুদে ঋণ দেয়া হয়। এসএমই খাতে সবচেয়ে বেশি সেবা দেয় -ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনাকালে দেওয়ান হানিফ মাহমুদ বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য মূলত রাজধানী ঢাকা চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। পদ্মা সেতু হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবসা-বাণিজ্য ছড়িয়ে পড়ার যে আবেদন সেটাকে লক্ষ্য করে আজকের আয়োজন। নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। তাই আজকের আয়োজনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যশোরে নিয়ে আসা।

মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, যশোর ব্রিটিশ বাংলার প্রথম স্বাধীন জেলা। যশোরকে আমরা আগামীর বিজনেস হাব হিসেবে ধরে রেখেছি। তাই যারা বিনিয়োগ করবেন, যশোরকে মাথায় রাখবেন। খুলনা বিভাগের অর্থনীতি যশোরকে ঘিরেই। যশোরের সবজি ফল ঢাকার ৭০ ভাগ চাহিদা পূরণ করে। ফুলের রাজধানী যশোর। ব্যাংকের যে সমস্যা আছে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এলে সেগুলো অনেকটা কমে যায়। জনগণের জন্য সুদহার আরো কমিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছি। তাহলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল আরো এগিয়ে যাবে। সর্বোপরি বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

শাহিন চাকলাদার বলেন, যশোরের মানুষ খেলাপি করে না। যশোরের মানুষ ভালো। আতিথেয়তা অঙ্গীকার পূরণে বদ্ধপরিকর। ব্যাংকগুলোতে ঋণ নিতে গেলে জামানত দিতে হয়। নতুবা ঋণ পাওয়া যায় না। ঋণের বিষয়টা পরিষ্কার করলে আরো সুবিধা হবে। রাজধানীর পর যশোরে প্রায় সব ব্যাংকের শাখা আছে। এখানের সবজি সারা দেশে যায়। পদ্মা সেতু বা রেলই নয়, রূপসা সেতু, কালনা সেতুএসব যশোরের অহংকার। আমরা ঘণ্টায় ঢাকা পৌঁছে যাচ্ছি। আগে সবজি পৌঁছাতে অনেক খরচ হতো। এখন দ্রুত পৌঁছে যায়, কম খরচে। বঙ্গবন্ধু যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে চেয়েছেন। সেটা তার কন্যা পূরণ করছেন। আজ বাংলাদেশ উন্নত বাংলাদেশ। খুলনা বিভাগীয় শহর হলেও বিজনেসে লিড দিচ্ছে যশোর।

মমিনুল ইসলাম বলেন, ঢাকার বাইরে প্রথম এনবিএফআই মেলার আয়োজনে যশোরকে বেছে নেয়া হয়েছে। এটা যশোর অর্জন করে নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসএমই খাতে অর্থায়ন প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়েছে। যশোরে খেলাপি কম। ব্যাংকগুলো সারা দেশে ছড়িয়ে আছে। অন্যদিকে -ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়িতে গিয়ে দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়। ব্যাংকে গেলে জামানত আছে কিনা শুনতে হয়। -ব্যাংক প্রতিষ্ঠানে বেশির ভাগ ঋণ দেয়া হয় জামানত ছাড়া। ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য -ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো ভূমিকা রাখতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলের জীবনমান উন্নয়নে মেলা ভূমিকা রাখবে।

খাজা শাহরিয়ার বলেন, একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অপরিসীম। ব্যাংকের তুলনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা কোনো অংশে কম নয়। বহুকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চল বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত। পদ্মা সেতুর পর সেটা আরো প্রবল হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে লংকাবাংলা ঋণ বিতরণ করে আসছে। দক্ষিণাঞ্চলের পরিবহন, কৃষিপণ্য উৎপাদন গবাদিপশুর উন্নয়নে লংকাবাংলা সহায়তা করে যাচ্ছে।

মো. কায়সার হামিদ বলেন, যশোর বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন জেলা। কিন্তু অর্থনীতিতে নদীর কারণে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। এখন পদ্মা সেতুর কারণে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আমরা বিডি ফাইন্যান্স নারীদের জন্য প্রথমবার ঋণ নেয়া এমন ৮০০ জনকে ঋণ দেয়া হয়েছে। প্রথম আমরাই নারীদের শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছি। এখন অনেকেই দিচ্ছে। যশোর অঞ্চলে টাকাও খেলাপি হয়নি। যশোরের মাধ্যমে এর আশপাশের জেলাগুলোতেও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিয়ে আসছি আমরা।

নাসিমুল বাতেন বলেন, আমরা মূলত হোম লোন দিয়ে থাকি। যশোরে আমরা ২০২৩ সালের মধ্যে কার্যক্রম চালু করব। খুলনায় আমাদের শাখা রয়েছে।

মোহাম্মদ আবুল আহসান বলেন, যশোরের আশপাশের জেলাগুলোতে আমরা সেবা সম্প্রসারণ করেছি। যশোরকে শুধু কেন্দ্রে রাখিনি, বরং আশপাশের জেলাগুলোতে শাখা করেছি সেবা দিয়েছি। ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তারা সাধারণত আসেন না। তাদের কাছে আমরা সেবা পৌঁছে দিই তাদের দোরগোড়ায়। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ঢাকার বাইরে কার্যক্রম শুরু করলে আমরা অনেক মানুষকে সেবা দিতে পারব।

কান্তি কুমার সাহা বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। ব্রাঞ্চ না থাকলেও আমরা কীভাবে সেবা ডিজিটালি পৌঁছে দিতে পারি সেদিকে নজর দিচ্ছি, যেন ঢাকায় বসেই উদ্যোক্তারা সুযোগ পান। ফিজিক্যালির চেয়ে ডিজিটালি যদি আমরা এগিয়ে নিতে পারি, তাহলে আরো বড় পরিসরে সেবা দেয়া যাবে।

সৈয়দ জাভেদ নূর বলেন, যশোরে আমাদের সেবা এক যুগ ধরে চলছে। আমাদের চালডালে শতাংশ মালিকানা রয়েছে। চালডালের কল সেন্টার যশোর হাইটেক পার্কে স্থাপন করা হয়েছে। এতে স্থানীয় অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। যশোরে যে পরিমাণ শিক্ষিত লোক আছে; দক্ষ লোক আছে অন্য জায়গায় তা নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক শাহরিয়ার রহমান বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর যশোর বিভিন্ন দিক থেকে বিজনেস হাব হতে যাচ্ছে। দেশের বড় স্থলবন্দর যশোরে। এয়ারপোর্ট আছে। যশোর অঞ্চলে ছয়টা এনবিএফআইয়ের কার্যক্রম চলছে। আরো কিছু প্রতিষ্ঠান আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। আমি দেশের ৩৩ -ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সবাইকে যশোরে কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। সহায়তা প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রফিকুল হাসান বলেন, করোনার মাঝামাঝি সময়ে একজন নারী উদ্যোক্তা ফোন দিয়ে জানালেন, তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারছেন না। আইডিএলসি থেকে কিস্তিতে ৮৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। তার ব্যবসা বড় হয়েছে। সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প এখন যশোরনির্ভর হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপ এখানে অনেক ভূমি কিনতে চেয়েছে। ইপিজেড হচ্ছে, ভূমি অধিগ্রহণ প্রায় শেষ। এখানে মাছ, শাক-সবজি, আরএমজি, টেক্সটাইল সব খাতই সম্ভাবনার। বেনাপোল থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ছয় লেন সড়ক হবে। যশোর থেকে মোংলা পর্যন্ত ছয় লেন হওয়ার কথা রয়েছে। রেললাইন সম্প্রসারণ হবে। পদ্মার রেল প্রজেক্ট চালু হলে সম্ভাবনা আরো বেড়ে যাবে। দেশের সর্ববৃহৎ অটোমোবাইলস শিল্প যশোরে। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যশোরে আসার অনুরোধ জানাব।

সকাল ১০টা থেকে মেলার প্রদর্শনী শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সারা দিনই মেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দর্শনার্থীরা জেলা পর্যায়ে এমন আয়োজন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় দর্শনার্থী ইউসুফ হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, মেলায় এসে অনেক ভালো লাগছে। অনেক কিছু জেনেছি। উদ্যোক্তারা যে সহজে ঋণ নিতে পারে তা জানা ছিল না। কারণ সবাই ব্যাংকের কাছে যায়, আর ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া যায় না। এখানে অনেক প্রতিষ্ঠান এসেছে যারা খুব সহজেই ঋণ দেয়।

মেলায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার পাশাপাশি অন্যতম আকর্ষণ ছিল র্যাফল ড্র। দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে র্যাফল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম পুরস্কার (মোটরসাইকেল) জিতেছেন শারমিন, দ্বিতীয় পুরস্কার (ঢাকা-থাইল্যান্ড-ঢাকা কাপল এয়ার টিকেট-সৌজন্যে: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস) স্বপ্ন, তৃতীয় পুরস্কার (ঢাকা-মালদ্বীপ-ঢাকা এয়ার টিকেট-সৌজন্যে: মালদিভিয়ান এয়ারলাইনস) জেনি, চতুর্থ পুরস্কার (ঢাকা-মালয়েশিয়া-ঢাকা এয়ার টিকেট-সৌজন্যে: এয়ার এশিয়া) নয়ন, পঞ্চম পুরস্কার (৪র্৩র্  স্মার্ট টেলিভিশন-সৌজন্যে: ওয়ালটন গ্রুপ) মো. আশিক ইকবাল, ষষ্ঠ পুরস্কার (২৪০ লিটার রেফ্রিজারেটর-সৌজন্যে: কনকা-ইলেক্ট্রো মার্ট লিমিটেড) জান্নাতুল ফেরদৌস, সপ্তম পুরস্কার (ঢাকা-থাইল্যান্ড-ঢাকা এয়ার টিকেট-সৌজন্যে: এয়ার এশিয়া) রেজা, অষ্টম পুরস্কার (যশোর-কক্সবাজার-যশোর কাপল এয়ার টিকেট-সৌজন্যে: নভোএয়ার) মো. সোহেল রানা, নবম পুরস্কার (সিলেটে পাঁচ তারকা হোটেলে থাকা-সৌজন্যে: দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট) তোহিদ মনি, দশম পুরস্কার (স্মার্টফোন) আরাফাত, ১১তম পুরস্কার হিসেবে (কক্সবাজারে পাঁচ তারকা হোটেলে থাকা-সৌজন্যে: সি পার্ল বিচ রিসোর্ট স্পা) মনোয়ার ইউসুফ হাসান, ১২তম পুরস্কার (ডায়মন্ড রিং) কারিমুল, ১৩তম পুরস্কার (৩র্২র্  এলইডি টেলিভিশন-সৌজন্যে: সনি-স্মার্ট) তরিকুল ইসলাম ১৪তম পুরস্কার (ঢাকা-যশোর-ঢাকা কাপল এয়ার টিকেট-সৌজন্যে: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস) রুদ্র।

মেলার প্রধান সহযোগী ছিল আইডিএলসি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স বাংলাদেশ ফাইন্যান্স। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল মাইডাস ফাইন্যান্স লিমিটেড, লংকান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স আইআইডিএফসি।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫