ফু-ওয়াং সিরামিকের ১৮৩ কোটি টাকার মজুদ পণ্য যাচাই করতে পারেননি নিরীক্ষক

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০১, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ১৮৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার মজুদ পণ্য যাচাই করতে পারেননি কোম্পানিটির নিরীক্ষক ম্যাবস অ্যান্ড জে পার্টনার্স, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। একই সঙ্গে কাঁচামাল ক্রয়, খুরচা যন্ত্রাংশ প্যাকিংয়ের যন্ত্রপাতি কেনা বাবদ কোম্পানিটি ৮৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকার যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে তথ্য জানিয়েছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

তথ্য অনুসারে, ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখিত ১৮৩ কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮০৭ টাকার মজুদ পণ্যের বিপরীতে সঠিক সময়, তথ্য প্রতিবেদন দেখাতে পারেনি কোম্পানিটি। এমন অগোছালো পরিস্থিতির কারণে কোম্পানিটির উল্লেখিত পরিমাণ মজুদ পণ্য শনাক্ত করতে পারেনি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটি ৭৭ কোটি ৯৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৪৮ টাকার কাঁচামাল, কোটি ৫২ লাখ ৫১৩ টাকার খুচরা যন্ত্রাংশ এবং কোটি ৯৮ লাখ ৯৯ হাজার ৭৯৬ টাকার প্যাকিং যন্ত্রপাতি কিনেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এসব মালামাল কেনার বিষয়ে যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কোম্পানিটি। তাই নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি মোট ৮৬ কোটি ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭ টাকার কাঁচামাল, খুচরা যন্ত্রাংশ প্যাকিং যন্ত্রপাতি শনাক্ত করতে পারেনি।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ফু-ওয়াং সিরামিকের পরিচালনা পর্ষদ। ঘোষিত লভ্যাংশ আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে বছরের ৩১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। -সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ডিসেম্বর।

২০২১-২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৪ পয়সা। বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৮ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১১ টাকা ৭০ পয়সায়।

৩০ জুন ২০২০-২১ সমাপ্ত হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ৪৭ পয়সা।

এর আগে ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের দশমিক ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর আগের ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটি ২০১৭-১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের জন্যও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পান শেয়ারহোল্ডাররা। আর ২০১৪-১৫ হিসাব বছরের জন্যও একই হারে স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

১৯৯৮ সালে তালিকাভুক্ত ফু-ওয়াং সিরামিকের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের সংখ্যা ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫