ক্যানচেম সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশে কানাডিয়ানদের বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশ: নভেম্বর ২৮, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে এখনই বিনিয়োগের সময়। বাংলাদেশীদের নয় নিজেদের সাহায্য করার জন্যই বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। কানাডা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ক্যানচেম) আয়োজিত কানাডা বাংলাদেশের ৫০ বছরের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উদযাপন সভায় এসব কথা বলেন প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেন। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার . লিলি নিকোলস, কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার . খলিলুর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেন বলেন, কানাডা বাংলাদেশকে ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি দেয়। কানাডা বাংলাদেশের মহান বন্ধু যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার প্রথমদিকে প্রচুর গম সরবরাহ করেছিল। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও বাংলাদেশের জন্য কানাডিয়ান সাধারণ বাণিজ্য অগ্রাধিকার সুবিধা প্রয়োজন। বাংলাদেশের চেয়ে ৬৭ গুণ বড় কানাডা। তার পরও দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো। যদিও মাথাপিছু আয় থেকে শুরু করে আরো অনেক বিষয়ে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখনই সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার। বাংলাদেশীদের নয় নিজেদের সাহায্য করার জন্যই বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়া প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কানাডার সহযোগিতা চেয়েছেন মন্ত্রী।

কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বলেন, জি৭ দেশগুলোর মধ্যে কানাডাই প্রথম দেশ যারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং স্বাধীনতার পর খাদ্য সহায়তা সরবরাহ করেছে। নিকোলস দারিদ্র্য ৯০ শতাংশ থেকে শতাংশে হ্রাস করার প্রশংসা করেছেন। এখন কানাডা এবং বাংলাদেশ উভয়ের জন্যই একটি বিশেষ সময়। আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় সেটা হচ্ছে দুই দেশের পারস্পরিক অংশীদারত্ব। কানাডা বাংলাদেশ দুটি দেশই গণতন্ত্র চর্চা করে। অনেক কিছু মিল আছে দুটি দেশের মধ্যে। দুই দেশের যৌথভাবে আরো অনেক কিছু করার আছে। কানাডা ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল প্রকাশ করবে, যেখানে বাংলাদেশ কৌশলটির একটি মূল অংশ।

ক্যানচেম সভাপতি মাসুদ রহমান বলেন, বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য খুঁজছেন কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীরা। অর্থনৈতিক অঞ্চলে কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীরা জমি বরাদ্দ চাইছেন। বক্তব্যে প্রায় ১০টির মতো সুপারিশ উপস্থাপন করেন ক্যানচেম সভাপতি।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিনিয়োগের উন্নয়নে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের অধীনে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা এফবিসিসিআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গার্মেন্টস আইটেম ছাড়াও চামড়া, কৃষি খাদ্য, নীল অর্থনীতিতে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসার অপার সুযোগ রয়েছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫